বলছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী তাইওয়ানের সাথে পুনঃএকত্রীকরণে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হবে চীন

প্রকাশিত: ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

চীন তাইওয়ানের সাথে “পুনঃএকত্রীকরণ” করার জন্য “দৃঢ়ভাবে অগ্রসর” হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।

একইসঙ্গে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার পাশাপাশি চীনা জাতির পুনরুজ্জীবন উপলব্ধি করাতে নিয়মিত তাইওয়ানের সাথে বেইজিং কাজ করার চেষ্টা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (৫ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মূলত তাইপেই সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও চীন গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে তার নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপটির বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বাড়িয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় সামরিক মহড়াও রয়েছে।

চীনের পার্লামেন্টে দেওয়া নিজের বার্ষিক কাজের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং লিখেছেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে চীনের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যকে এগিয়ে নেব এবং চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনের গৌরবময় লক্ষ্যটি উপলব্ধি করাতে তাইওয়ানে আমাদের সহযোগী চীনাদের সাথে কাজ করব।”

গত বছর তার কাজের প্রতিবেদনেও লি তাইওয়ানের সাথে “পুনঃএকত্রীকরণ” করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনে সেই লক্ষ্য অর্জনে তিনি “দৃঢ় হওয়ার” বার্তা দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে ব্যবহৃত “শান্তিপূর্ণ” শব্দটি বাদ দিয়েছেন।
রয়টার্স বলচে, বেইজিং ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানের সাথে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে এবং আবার বলেছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের “বিরোধিতা করবে” বেইজিং। তবে চীনা জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করার জন্য “তাইওয়ানের সহকর্মী চীনাদের” সাথে কাজ করার আবেদনটি গত বছরের কাজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

অবশ্য তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেছেন, শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। তিনি বারবার চীনের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে চীন বরাবরই সেসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে— তিনি একজন “বিচ্ছিন্নতাবাদী”।

এছাড়া তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন কখনোই শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা বাতিল করেনি।

তবে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপসহ অন্যান্য উপায়ে বেইজিংয়ের ওপর চাপ বাড়ানোর প্রেক্ষিতে চীন বলেছে, তারা তাইওয়ান ইস্যুতে “বহিরাগত হস্তক্ষেপের” বিরোধিতা করেছে।

অন্যদিকে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক শীর্ষ নীতি-নির্ধারণী সংস্থা মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। আর তাইওয়ান সরকারের চীন নীতি সম্পর্কে অবগত একজন সিনিয়র তাইওয়ানিজ কর্মকর্তা বলেছেন, তাইওয়ানের বিষয়ে বেইজিংয়ের সুর খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি।