গত পাঁচ দিনে বলিভিয়ার বিভিন্ন শহরের বাসাবাড়ি, সড়ক আর যানবাহন থেকে চার শতাধিক মানুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের ৮৫ শতাংশের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত বলিভিয়ায় ৬০ হাজার ৯৯১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ২১৮ জনের। তবে নতুন করে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণের মাত্রা আরও ভয়াবহ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বলিভিয়ার ন্যাশনাল পুলিশ ডিরেক্টর কর্নেল আইভান রোজাস জানান, গত ১৫ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে কোচাবাম্বা মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে মোট ১৯১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক রাজধানী লা পাজে আরও ১৪১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আর দেশটির সবচেয়ে বড় শহর সান্টা ক্রুজে মিলেছে ৬৮টি মরদেহ।
মৃতদের ৮৫ শতাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি অতবা লক্ষণ পাওয়া গেছে। বাকিরা অন্য ধরনের অসুস্থতা কিংবা সহিংসতায় মারা গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বলিভিয়ার ন্যাশনাল এপিডেমিওলজিক্যাল কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলীয় কোচাবাম্বা এবং লা পাজ এলাকায় সম্প্রতি খুব দ্রুত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
বলিভিয়ার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন ইন্সটিটিউটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দেশের হাসপাতালগুলোর বাইরে থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনার উপস্থিতি বা লক্ষণ ছিল।