বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব-এ রূপান্তরের কাজ হচ্ছে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০২৩

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করতে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন শতকরা ৯৫ ভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিপুল পরিমান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল ডিভাইস আমাদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করা সরকারের ডিজিটাইজেশনের স্বপ্নের অন্যতম একটি লক্ষ্য।
মন্ত্রী আজ তার দপ্তর থেকে নারায়নগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে ট্রানশন হোল্ডিংসের মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা আই স্মার্ট ইউ ফ্যাক্টরী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্ব মানের ১৫টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরও কয়েকটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে।
স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য ট্রান্সশান হোল্ডিংসের উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
মন্ত্রী বলেন, দেশে মোবাইল ফোনের অভিযাত্রা ১৯৮৯ সালে সীমিত আকারে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।
মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছোট খাটো কিছু সংকট বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোবাইল ফোন রপ্তানির একটি বড় বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্রের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নের বিষয়ে মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশে ইকোনমি জোন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ট্রানশন হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জর্জ জু এবং বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের ইকোনমি ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং বক্তৃতা করেন।