বাংলাদেশের রাজনীতিতে আ.লীগ একটা অভিশপ্ত দল

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ দলটা একটা অভিশপ্ত দল। শেখ হাসিনা হলো অভিশপ্ত ব্যক্তি। এরা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে আর বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ লুটপাট করেছে। একাত্তর সালের পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাদের এজেন্ডা কী ছিল? প্রথম এজেন্ডা ছিল বাংলাদেশ থেকে ইসলাম নির্মূল করা। সেজন্য তারা জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজোলা জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াতকে নির্মূল করা যাবে না উল্লেখ করে মাওলানা রফিকুল বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির ১১ জন নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কাউকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনো নেতা দেশ ছেড়ে পালায়নি।

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে বিচারের নামে মঞ্চস্থ করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রেখেছে। উদ্দেশ্য ছিল জামায়াত নির্মূল করা। ওরা আসলে জামায়াত-শিবিরকে চিনে নাই। হত্যা করে, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, গুম-খুন করে, আয়নাঘর তৈরি করে, লাখ লাখ নেতাকর্মীকে জেলখানায় আবদ্ধ করে জামায়াত-শিবির নির্মূল করা যাবে না।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহ তালা দাম্ভিকতা পছন্দ করেন না। আপনি পালিয়ে গেলেন! পালানোর দুইদিন আগেও তো বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না, আবার বলেছেন শেখের বেটি পালায় না। তো পালালেন কেন? আপনি তো বহু ভালো কাজ করেছেন। উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন, পালালেন কেন?

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে ছাত্র-জনতাকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৪ আগস্ট ঢাকার অলি-গলিতে শত শত লাশ পড়েছিল। এখনো অনেক পরিবার তাদের লাশ খুঁজে পায়নি। এখনো শহীদের রক্ত শুকায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে ছাত্রদের ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তাদের প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের আমির আ ন ম ইলিয়াসের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আমির হোসেন ও মজলিশে শুরা সদস্য জালাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান মেহমান ছিলেন বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও চাকসুর সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলার আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন, সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক লোকমান হাকিম ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ডা. মুহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হাকিম সোহেল, কুমিল্লা উত্তর জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি সানাউল্লাহ রাসেল প্রমুখ।