ক্রীড়া ডেস্ক :
২০২২ বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব ম্যাচটার কথা খুব একটা ভুলে যাওয়ার কথা না ফুটবল ভক্তদের। লিওনেল মেসিদের ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল সৌদি আরব। সেদিন হার্ভে রেনারের হাই লাইন ডিফেন্সে বারবার আটকেছিল আর্জেন্টিনা। মেসিরা সেদিন অফসাইডে পড়েছিলেন ১০ বার।
হাই লাইন ডিফেন্সের এমন রূপ দেখিয়েছিলেন লিভারপুলের কোচ ইউর্গেন ক্লপ। একের পর এক ম্যাচ প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ রেখেছিল জার্মান এই কোচের ট্যাকটিক্স। সঙ্গে ছিল টানা প্রেসিং। লিভারপুলের ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সাফল্যের নেপথ্যে ছিল এমন কিছুই। তবে চলতি বছর হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা যেন ছাড়িয়ে গেল সবাইকে।
এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে ৮৭ বার অফসাইডের ফাঁদে ফেলেছে বার্সেলোনা। সবশেষ দুই ম্যাচে বার্সার প্রতিপক্ষের চার গোল বাতিল হয়েছে এই হাই লাইন ডিফেন্সের কারণে। এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অফসাইড হয়েছে ওসাসুনার বিপক্ষে। তবে তাদের বিপক্ষে হয়েছে মোটে ৩৭ অফসাইড।
চলতি মৌসুমে কার বিপক্ষে কত অফসাইড
বার্সেলোনা (স্প্যানিশ লা লিগা) – ৮৩ অফসাইড
ওসাসুনা (স্প্যানিশ লা লিগা) – ৩৭ অফসাইড
ব্রাইটন (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ) – ৩৬ অফসাইড
পার্মা (ইতালিয়ান সিরি আ) – ৩৬ অফসাইড
ফুলহ্যাম (ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ) – ৩৩ অফসাইড
বার্সেলোনার বিপক্ষে এত অফসাইডের কারণ তাদের দুই সেন্টার ব্যাক পাউ কুবারাসি এবং ইনিগো মার্তিনেজ দুজনকেই প্রায় মাঝলাইনের কাছাকাছি খেলাচ্ছেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। যার সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপে। এল-ক্লাসিকোয় বার্সার বিপক্ষে সবমিলিয়ে ৮ বার অফসাইডে ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। এক ম্যাচে অফসাইডের সাপেক্ষে যা সর্বোচ্চ।
সবশেষ গতরাতের ম্যাচে এসপানিওলের বিপক্ষেও ছিল বার্সেলোনার এই হাই লাইন ডিফেন্স। সেখানে কাতালান ডার্বিতেও এসপানিওলের দুই গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণেই।
ফুটবল বিশ্লেষণের ওয়েবসাইট দেখা যায়, চলতি মৌসুমে নিজেদের গোললাইন থেকে গড়ে ৩৪ দশমিক ৬ মিটার সামনে নিজেদের ডিফেন্স লাইন তৈরি করে বার্সেলোনা। যা ইউরোপের অন্য যেকোনো ক্লাবের তুলনায় অনেকটাই বেশি