বিএনপি নেতা হাবিবের অবস্থান জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার ঘটনায় তলবের পরও উপস্থিত হননি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। এ অবস্থায় সংশিষ্ট পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আগামী ৮ নভেম্বর তার অবস্থান জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


শুনানিকালে আদালত বলেন, উনি (হাবিব) বাইরে থেকে আদালতে না এলে এক কথা। আর ভেতরে (কারাগার) গিয়ে না আসতে পারলে আরেক কথা। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
এর আগে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে হাবিবের দেওয়া বক্তব্য ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ-সংক্রান্ত নথি উত্থাপিত হলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে পাঠান। সঙ্গে অভিযোগসংক্রান্ত ভিডিও ক্লিপও পাঠানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই বক্তব্য উপস্থাপনের পর গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ৬ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে তলব করেন হাইকোর্ট। কিন্তু সোমবার তিনি বা তার কোনো প্রতিনিধি আদালতে হাজির হননি।


পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, আদালত অবমাননার অভিযোগে হাবিবুর রহমান হাবিবকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার একটা নির্দেশনা ছিল। রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে- উচ্চ আদালতের এ আদেশের কপি তার স্ত্রী গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি। যে কারণে আদালত হাবিবের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ৮ নভেম্বর জানাতে বলেছেন। ওইদিন পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত। একইসঙ্গে আজ বিটিআরসি জানিয়েছে, সেই আপত্তিকর বক্তব্য তারা অপসারণ করেছেন।
বিচারিক আদালতে জজ থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।


গত ১৫ অক্টোবর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের বক্তব্যের লিংক ইউটিউবে প্রচারিত হতে থাকলে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। বিষয়টি হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় উত্থাপিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। সে বক্তব্যটা এতটাই অশালীন, যেটা স্বাভাবিকভাবে কোনো শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না।