ক্রীড়া ডেস্ক:
বিদায়ী সম্মাননা নানাভাবে দেওয়া যায়। সম্মানিত ব্যক্তি, সম্মানদাতা ও প্রক্রিয়ার ওপর সেটা নির্ভর করে। গতকাল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যেমন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিদায়ী সম্মাননা দেওয়া হলো। জাতীয় দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ক্রেস্ট। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের পক্ষ থেকে মাহমুদউল্লার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক শান্ত বক্তব্য দেন। দীর্ঘদিনের জাতীয় দলের সতীর্থ তামিম ইকবাল বিদায়ী সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন অন্য ভূমিকায়। স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার তামিম উপস্থাপনা করেন। ক্রেস্ট দেওয়ার বাইরেও বড় সম্মান দেখানো হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। ফিল্ডিংয়ে নামার সময় সবার আগে ছিলেন তিনি। তাঁর পেছনে ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। অন্য সময় হলে অধিনায়ক থাকতেন সামনে।
ভারতের মাটিতে খেলা হওয়ায় বিদায় সম্মান জানাতে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হয়নি বলে জানান দলের একজন সদস্য। বিশাল আয়োজনের প্রয়োজনও নেই। কারণ মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেননি। টেস্টের পর টি২০ ছাড়লেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলে যেতে চান আরও কিছুদিন। সাকিব আল হাসানের মতো তিনিও শেষ করতে পারেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ৩৮ বছর বয়সী মিডল অর্ডার এ ব্যাটার এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে দেশের মাটিতে শেষ করা হবে না তাঁর। অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিক বিদায় দিতে পারবে না বিসিবি। কারণ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
তবে দেশ থেকে বিদায় নিতে চাইলেও সুযোগ আছে। মার্চে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে ও তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগস্টে ভারতের বিপক্ষে আছে তিন ম্যাচ করে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ। অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে তিন ম্যাচ ওয়ানডে ও তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ। ২০২৫ সালের শেষ হোম সিরিজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে; দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ দিয়ে। বিসিবি এবং মাহমুদউল্লাহ একমত হলে বছর শেষেও শেষ করতে পারবেন দেশের মাটিতে। যদিও অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ব্যাপারে কিছু বলেননি। দিল্লিতে শুধু বলেছিলেন, ‘দেখা যাক, সময়ই বলে দেবে।’
মাহমুদউল্লাহ গতকাল আন্তর্জাতিক টি২০ শেষ করলেও লিগে খেলবেন। ২০২৪-২৫ বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটেগরির খেলোয়াড় তিনি। খেলবেন ফরচুন বরিশালে। ফিট থাকলে লিগের খেলা চালিয়ে যেতে পারেন আরও এক-দুই বছর। সাদা বলের ক্রিকেট খেলবেন তিনি। অর্থাৎ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাহমুদউল্লাহর ক্রিকেট। চাহিদা থাকলে ঘরোয়া লিগে খেলতেই পারেন তিনি। তবে জাতীয় দলে বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাথায় রেখে দল ঢেলে সাজাবেন নির্বাচকরা।