নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে ফিরেছেন হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত-সমালোচিত আদম তমিজী হক। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় তাকে বিমানবন্দরের একটি রুমে আটক করে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়।
জানা গেছে, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৪৫৩০৯২৪৭৪ ফ্লাইটে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় আসেন আদম তমিজী হক। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ২৫ জন সদস্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়। আদম তমিজী হক তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও দেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিমান বন্দরে পৌঁছানোর পর আমাকে ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়নি এবং পরিবর্তে স্বাভাবিকভাবে যেতে বলা হয়েছিল। বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে একটি অফিসে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছিল। সেখানে অফিসাররা আমাকে সঙ্গ দেয় এবং ভদ্রভাবে কথা বলেন। এরপর সৌজন্য সহকারে আমাকে বেরোনোর দিকে এবং আমার গাড়িতে নিয়ে যায়। বিমানবন্দরের অফিসে বসে থাকাকালীন আমি কয়েকবার তাদের সঙ্গে মেজাজ হারিয়েছি তবে তারা কখনই আমাকে অসম্মান ব্যবহার করেনি। আমি এখন নিরাপদ এবং বাড়িতে আছি।
এর আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার সব শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি আদম তমিজী হক আপনাদের রিজিক রক্ষার্থে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করব। তাই আমার সব শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, যারা সত্যিকার অর্থে হককে শ্রদ্ধা করেন এবং ভালোবাসেন আগামীকাল রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দরে ভিআইপি গেটের সামনে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
দিকে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে এবার ক্ষমা চাইলেন তমিজী হক। বলেছেন, ‘অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি এমন কাজ করেছেন। যা একদমই উচিত হয়নি। তিনি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসেন।’
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে তমিজী হক ফেসবুকে ঘোষণা করেন, গাজীপুরের একজন প্রতিমন্ত্রী(যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী) তার ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন, তাকে তার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন।
তারপরে তিনি ফেসবুকে একাধিক লাইভ করেন। যেখানে তিনি তার পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে তাকে তার দলীয় পদ থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ তাকে বরখাস্ত করে।