বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের মর্যাদা বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলাম :
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের মর্যাদা বদলে দিয়েছেন।
আজ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা বাস্তবায়ন করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সারা দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সাবমেরিন, স্যাটেলাইট,
মেট্রোরেল, রুপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এই সবগুলো যখন মিলিয়ে দেখি, পৃথিবীর কতগুলো দেশে এইসব কিছু আছে। হাতে গোনা কিছু দেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বিশ^ মঞ্চে বাংলাদেশের মর্যাদা পাল্টে দিয়েছেন। পদ্মাসেতু নিয়ে যখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হলো, দেশি বিদেশি কুচক্রিরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করলেন।
কিন্তু শেখ হাসিনা যখন বললেন, আমরা কারো কাছ থেকে কোনো টাকা না নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো। তখন বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ এই কথাগুলো বিশ^াস করে নাই। আমাদের মতো অনেকে আস্থা রাখলেও কিছু মানুষের মনে সন্দেহ ছিল। বার বার আমরা যারা উনাকে অবিশ^াস করেছি আমরা বোকা হয়েছি। আমরা যা কিছু অর্জন করেছি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট হয়তো আমরা দেখতে পারবো, ধরতে পারবো, পদ্মা সেতুটা আমরা দেখতে পারি, ধরতে পারি। কিন্তু সব কিছুর মধ্য দিয়ে যেটা আসল অর্জন হয়েছে সেটা ধরাও যায় না, দেখাও যায় না। সেটি হলো আমাদের সাহস,অনেক বেশী বেড়ে গেছে। আমাদের আশার জায়গা, স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস বেড়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের মর্যাদা যখন বিশ^ মঞ্চে বদলে গেছে তখন পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মধ্যে একটা সমস্যাও তৈরি করছে। সে সমস্যা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতৃত্ব এতো শক্তিশালী হয়ে উঠছে, কীভাবে পুরো দেশটাকে ট্রান্সফর্মেশনের মধ্যে নিয়ে গেছেন তখন বিভিন্ন ধরণের দুরভিসদ্ধিমুলক কার্যক্রম আমরা দেখছি। এখন তারা নিয়ে আসে অন্যান্য বিষয়। যেহেতু দারিদ্র বিমোচন হয়ে যাচ্ছে, যেহেতু শিক্ষার হার বেড়ে যাচ্ছে,স্বাস্থ্য সুরক্ষা হচ্ছে তারা নিয়ে আসছে ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এই সব বিষয়। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ভাতের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন, এগুলো কী মানবাধিকার নিশ্চিত করা নয়?
রাষ্ট্রপতি ভাষণের ওপর আরও আলোচনায় অংশ নেন, সরকারি দলের সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, এইচ, এম বদিউজ্জামান, বেনজির আহমেদ, এবিএম শহিদুল ইসলাম, ছানুয়ার হোসেন ছানু, মো. মোহিত উর রহমান,আবদুল্লাহ আল কায়সার, মতিয়ার রহমান, আবু জাফর মো. শফি উদ্দিন, স্বতন্ত্র সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ ও এস এ কে একরামুজ্জামান।