ক্রীয়া ডেস্ক:
বিসিবিতে দিন দিন অস্থিরতা বাড়ছে। বিএনপি সমর্থিত ক্রিকেট সংগঠকদের নেতৃত্বে প্রতিদিন মিছিল হতে দেখা যাচ্ছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন গ্রুপ দলবল নিয়ে বিসিবি কার্যালয়ের প্রধান গেটের ভেতরে অবস্থান করতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে। পরিচালনা পর্ষদের কর্মকর্তাদের সাড়া না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে পেশাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে। ক্রিকেটের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে সবকিছু স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী। ফলে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মাটি ভরাট, পূর্বাচলে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রক্রিয়া থেমে গেছে।
ঢাকার পূর্বাচলে ৩৮ একর জমির ওপর নিজস্ব অর্থায়নে আন্তর্জাতিক একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বিসিবি। আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি, নকশা প্রণয়ন করা হয়ে গেছে। পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভায় টেন্ডার আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্টেডিয়ামের নকশা করা হয়েছিল নৌকার আদলে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় নকশায় পরিবর্তন করা হতে পারে। স্টেডিয়ামের নির্মাণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হলেও নামকরণে পরিবর্তন হবে।
বিসিবির নিজস্ব তহবিলে পূর্বাচল স্টেডিয়ামটি নির্মাণের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চার সদস্যের একটি কমিটিও রয়েছে। কমিটিতে পরিচালকদের মধ্য থেকে আছেন মাহবুবুল আনাম ও ইসমাইল হায়দার মল্লিক। প্রশাসনিক বিভাগ থেকে সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও সিএফও আব্দুল মান্নান। এই কমিটি বিসিবির গুলশান কার্যালয়ে অফিস করে। ক্রিকেট সংগঠকরা মনে করেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া স্টেডিয়াম নির্মাণ-সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত। এ ব্যাপারে সিইও সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের সঙ্গে কথা বলে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ এই সম্পদ বিসিবির। বোর্ডকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ফতুল্লা স্টেডিয়ামে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগে। কোটি টাকা খরচ করে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে এই স্টেডিয়ামের পানি নিষ্কাশনের নকশা করা হয়। তাদের পরামর্শে মাটি ভরাট করে আউটার ও মূল স্টেডিয়াম সারা বছর খেলার উপযোগী রাখার উদ্যোগ নেয় বোর্ড। বিসিবির তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে পুরো অর্থ।
এ নিয়ে সিইও সুজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজের বাইরে কোনো কিছু করব না। আমি অর্থ বিভাগকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছি– যেখানে যেটা আছে, স্থগিত করে দৈনন্দিন কাজগুলো করতে। যেমন পাকিস্তানে দল যাচ্ছে, তার জন্য যা লাগে সব করা হবে। বিশ্বকাপ আয়োজনে যা যা লাগে, সেগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নতুন কোনো বিষয়ে অর্থ অনুমোদন করা হবে না। বোর্ড বসার পর বাকি সিদ্ধান্ত।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যক্রম শুরুর পর স্টেডিয়াম সংস্কার ও উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলবে বিসিবি।