ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপটে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। এরপরও বেড়েছে মূল্যসূচক। মূল্যসূচক বাড়াতে মূল ভূমিকা পালন করেছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। তবে ডিএসইর মতো এ বাজারটিতেও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ফলে সূচকের বড় পতন হয়নি।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। অবশ্য এর মধ্যেও দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক খাতের ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৫টির দাম কমেছে। আর্থিক খাতের ১৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৬টির দাম কমেছে।
এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ১৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশের ২৪ কোটি ৬৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী আঁশ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, টেকনো ড্রাগস, সিটি ব্যাংক, লাভেলো আইসক্রিম এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।