বগুড়া প্রতিনিধিঃ
অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিক ও হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে বগুড়ায় তিন প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা ও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
ভোক্তা অধিকারের বগুড়া কার্যালয় সূত্র জানায়, শহরের কানুছগাড়ি এলাকার মা ফাতেমা ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক ও শতদল কমিউনিটি হাসপাতালের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই সেখানে হাসপাতালের কার্যক্রম, অস্ত্রোপচার এবং রোগনির্ণয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব সহকারী ও দক্ষ টেকনিশিয়ান ছিল না। এজন্য মা ফাতেমা ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ ও শতদল কমিউনিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ঠনঠনিয়া এলাকার সেবা ব্লাড ব্যাংকে অভিযান চালানো হয়। তাদেরও কার্যক্রম পরিচালনার কোন অনুমোদন ছিল না। সেখান ফ্রিজ থেকে মেয়াদের তারিখ ছাড়া রক্তের ১০টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এদিকে, জরিমানা আদায় করার পরে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকারের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, বেসরকারি ক্লিনিক দুটি অনুমোদন ছাড়াই চলছিল। এছাড়া সেখানে দক্ষ জনবল ছাড়াই অবৈধভাবে রোগনির্ণয় কার্যক্রম চলছিল। নিজস্ব কোনো চিকিৎসক ও দক্ষ নার্স ছিলেন না। এসব অপরাধে অর্থদণ্ড ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়। এছাড়া ব্লাড ব্যাংকে নানা অনিময় থাকায় সেখানেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম বলেন, তালিকা করে অবৈধ, অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়গনস্টি সেন্টারে অভিযান চালানো হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ অভিযান চলমান থাকবে।