ভারতকে হারিয়েই সেমিতে যেতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

মঞ্চটা চিরচেনা। দুই বছর আগে কাঠমান্ডুর এই দশরথ স্টেডিয়ামেই ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে সেটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। সেই সাফে অনেক প্রথমের জন্ম দেয়া সাবিনা খাতুন-সানজিদা আক্তাররা প্রথম শিরোপা জেতার পথে কত কীর্তি গড়েছিলেন।

কিন্তু ২৫ মাস পর একই মঞ্চে ভিন্ন চেহারায় পিটার বাটলারের দল। যেখানে হওয়ার কথা উন্নতি, সেখানে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে হয়েছে অবনতি। তার প্রমাণ তো গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে হারতে হারতে ১-১ গোলে ড্র। অথচ এই পাকিস্তানকে আগের আসরে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। তাদের বিপক্ষে ড্রয়ে এখন ঝুলে আছে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের ভাগ্য।
শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে না হারলেই গ্রুপ ‘এ’ রানার্সআপ হয়ে শেষ চারের টিকিট কাটবেন মেয়েরা। যদি চার গোলের ব্যবধানে হেরে যায়, তাহলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে বাংলাদেশের। ভঙ্গুর রক্ষণ ও দুর্বল আক্রমণভাগের কারণে বাংলাদেশ শিবিরে আত্মবিশ্বাসের বড় অভাব। পাকিস্তানের জালে পাঁচ গোল দেওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষ ভারত বলে চাপ অনুভব করছেন মনিকা চাকমা-শিউলি আজিমরা। রঙ্গশালায় আজ বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে ফুটবলারদের উজ্জীবিত করার চেষ্টায় কোচ বাটলার।

দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ভারত টানা পাঁচবার শিরোপা জিতেছে। বাংলাদেশের কারণেই সর্বশেষ আসরে হেক্সা জয় হয়নি তাদের। হারানো শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামা দলটি এবার আটঘাট বেঁধেই নেমেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে যেভাবে ৫-২ গোলে হারিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের জন্য বুধবার বড় আতঙ্কের নাম বালা দেবি, দোংমেই গ্রেসিরা। আক্রমণভাগে ভারত এতটাই শক্তিশালী, বাংলাদেশের বর্তমান রক্ষণের জন্য তা চিন্তার কারণ। বিষয়টি ভালো করেই জানা আছে ডিফেন্ডার কৌহাতি কিসকুর।
গতকাল অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের এ ফুটবলার বলেন, ‘আমাদের জন্য কালকের (বুধবার) ম্যাচটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। টিম মিটিংয়ে কোচ আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভারতের শক্তিশালী ও দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছেন। মাঠে আমরা জেতার জন্যই নামব।’

মুখে আত্মবিশ্বাসী হলেও কিসকুর মতো অন্য সবার মধ্যে ভারতজুজু কাজ করছে। তরুণ ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে দল গড়া বাটলারের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল, প্রথম ম্যাচে সেটা পূরণ হয়নি। আজ বড় পরীক্ষাই হলো ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের। হারলেও ব্যবধানটা যেন চার না হয়, সেটাও মাথায় আছে সাবিনাদের।