‘ভুল’ চিকিৎসায় শিশুর পায়ে পচন, বিচার চেয়ে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ 

নরসিংসদীর বেলাবতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসার’ কারণে রৌজা নামে ১৪ মাসের শিশুর পায়ে পচন ধরেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ভুল চিকিৎসার বিচার চেয়ে বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন শিশুটির বাবা তোফাজ্জল হোসেন। তাঁর বাড়ি আমলাব ইউনিয়নের ধুকুন্দি এলাকায়।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, বেলাব উপজেলার চরউজিলাব ইউনিয়নের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে বারৈচা জেনারেল হাসপাতাল। গত ২৭ মার্চ ঠান্ডাজনিত কারণে শিশু রৌজাকে চিকিৎসা করাতে সেখানে নিয়ে যান তার বাবা তোফাজ্জল। এ সময় চিকিৎসক সিফাত উল্লাহ জানান শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। পরে শিশুটির পায়ে কেনোলা করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরেই শিশুটির কেনোলার জায়গায় পচন ধরে। দিন দিন পচনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে থাকেন তোফাজ্জল। অবশেষে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চার দিন ধরে ওই হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক রোমানা পারভীনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে শিশুটি। জানা গেছে, শিশুটির পচন ধরা পায়ে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে।

তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার শিশু সন্তানের পায়ে তারা ভুলভাবে কেনোলা করেছে। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার মেয়ের পায়ে পচন ধরেছে। ডাক্তার বলেছেন, প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে। আমি বেলাব থানা ও বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্তদের বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় বারৈচা জেনারেল হাসপাতালের মালিক পক্ষের একজন আমজাত হোসেনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বাচ্চা নাড়াচাড়া করার কারণে সম্ভবত কেনোলার স্থানে ইনফেকশন (সংক্রমণ) হয়েছে। তবে কোন নার্স এই কেনোলা করেছেন জানেন না তিনি। তবে বাচ্চাটির সমস্যা দেখা দেওয়ায় এখানেই আসা উচিত ছিল অভিভাবকদের। কিন্তু আসেননি তারা।

বারৈচা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সিফাত উল্লাহ বলেন, ‘শিশুটি আমার কাছে চিকিৎসা করিয়েছে এটা সত্য। নিউমোনিয়া হওয়ায় শিশুটির পায়ে কেনোলা করা হয়েছিল। কিন্তু কোন নার্স কেনোলা করেছে এটা আমার জানা নেই।’ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে গিয়ে ওই হাসপাতালে অভিযান চালাব।’