নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের প্রথম সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভন ডার লিয়েনের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) তিন দিনের সফরে তিনি বেলজিয়াম যাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে রবিবার (২২ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ’বিশ্বব্যাপী স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ ডিজিটাল প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন খাতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। এ উদ্যোগের আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সদস্য রাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশীদাররা অগ্রাধিকার খাতগুলোতে ২০২১-২০২৭ সালের মধ্যে মোট ৩০০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভন ডার লিয়েনের মধ্যে বৈঠকের পাশাপাশি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্দার দে ক্রো এবং লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা যায়।’
ইউরোপিয়ান ঋণ
এ সফরে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অনুদান হিসেবে প্রদানের জন্য ইউরোপিয়ান কমিশন এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি চুক্তি এবং বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের মধ্যে ১২ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি সই হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। এ চুক্তিটি বাংলাদেশে ব্যাংকটির অধিকতর বিনিয়োগের পথ প্রসারিত করবে বলে আশা করা যায়। এ সফরের সময় বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি আলাদা অনুদান চুক্তি সই হবে।