মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজবাড়ীতে হেফাজতের প্রতিবাদ সভা

প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৪

 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ ও বিজেপি বিধায়ক নিতিশ রানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজবাড়ীতে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় শহরের রেলগেট আজাদী ময়দানে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদ সভা শেষে বৃষ্টির মধ্যেই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি আজাদী ময়দান থেকে বের হয়ে শহরের পান্না চত্বর এলাকা ঘুরে রেলগেট শহীদ স্মৃতি চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্য দোয়া করা হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রাজবাড়ী জেলা শাখার আমির ও ভাজনচালা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মওলানা মো. ইলিয়াস মোল্লার সভাপতিত্বে এতে হেফাজতে ইসলামের রাজবাড়ী জেলার সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ, মহাসচিব ও রসূল হযরত মওলানা মাসুম বিল্লাহ নেছারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নোমানী, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মোসা, সদস্য আবু উমর রাকিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন
প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মওলানা মাহাবুবুর রহমান।

বক্তারা বলেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা হলেও এখনও রাজ্য সরকার তাদের গ্রেপ্তার না করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আমরা ভারতীয় পণ্য বয়কট করবো। এ সময় তিনি আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে কেউ কটূক্তি করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। তারা আরও বলেন, আমাদের দাবি হলো বিগত সরকারের আমলে হেফাজত ইসলামসহ ছাত্র জনতার ওপর যেই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সম্পাদনা কমিটিতে আলেম প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের দাবি হলো বিগত সরকারের আমলে হেফাজত ইসলামসহ ছাত্র জনতার ওপর যেই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সম্পাদনা কমিটিতে আলেম প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বক্তারা বলেন, মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে অপমান করার মধ্যে দিয়ে মানবতার আদর্শকে অপমান করা হয়। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে শেখায় না। যারা এসব করে তারা উগ্র। বিশ্বনবী পুরো বিশ্বের শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে অবমাননাকর কোনো কথা কোনো মুসলিম সহ্য করবে না।