মার্চে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৮ শতাংশ

প্রকাশিত: ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ 

সৌদি আরবের অর্থনীতি বহুলাংশেই বিদেশি কর্মীনির্ভর।। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতির ধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সৌদি দক্ষ ও উচ্চ শিক্ষাধারী পেশাজীবীদের আকর্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দেশটিতে বিনিয়োগ, ব্যবসা ও ভিসা-নীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে অঞ্চলটিতে রেমিট্যান্স-প্রবাহের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে।

সৌদি সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী কর্মীরা নিজ নিজ দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ১৯৬ কোটি রিয়ালের (সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৩১৯ কোটি ডলার) সমপরিমাণ। সে অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে সৌদি আরব থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেমিট্যান্স-প্রবাহের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটি থেকে মার্চে বহির্মুখী রেমিট্যান্স-প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।

জ্বালানি তেলনির্ভরতা থেকে সরে এসে সৌদি সরকার কয়েক বছর ধরে বৈচিত্র্যকরণ-নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর আওতায় দেশটিতে সরকারি, বেসরকারি নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে। সামনে শিল্প থেকে বিনোদনসহ নানামুখী খাতের সম্প্রসারণ বাড়বে। এ কারণে দেশটিতে বিদেশি কর্মী বাড়ছে। অবশ্য মার্চের রেমিট্যান্স-প্রবাহ নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্চে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের রমজান শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোয় সৌদি রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়ে যায়। এ সময় উত্সব বাবদ খরচ ও জাকাতের মতো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা পূরণে বেশি অর্থ ব্যয় হয়। সৌদি আরবের জ্বালানি তেলবহির্ভূত বৈচিত্র্যকরণ-নীতি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশটির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।

২০২২ সালের এক জনশুমারি অনুসারে, সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এমন বিদেশির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ, যা দেশটির মোট বাসিন্দা ৩ কোটি ২২ লাখের ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা ২১ লাখ ২০ হাজার বা মোট প্রবাসীর ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর ১৪ শতাংশ হিস্যা নিয়ে আছেন ১৮ লাখ ৮০ হাজার ভারতীয়। শীর্ষ পাঁচের বাকি তিন দেশ হলো পাকিস্তান, ইয়েমেন ও মিশর।