মালাক্কা প্রণালীতে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্তের ফলে ধীর গতির ইন্টারনেটে ভোগান্তি অনিশ্চিত
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের সাবমেরিন কেবলস কোম্পানির সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়েনি। মালাক্কা প্রণালী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত একটি সংকীর্ণ ৮০৫ কিমি-এর সমুদ্রপ্রণালীতে দেশের ইন্টারনেটকে যুক্ত করা ২য় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম SEA-ME-WE ৫ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনাইটেড কেবল কোম্পানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে SEA-ME-WE ৫ সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের ক্ষতি মাল্লাকার প্রণালীতে ঘটেছে, যার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যাহত হয়েছে।
এই সাময়িক বিভ্রাট বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদি বিভ্রাট এ রূপ নিয়েছে। যে তার দিয়ে ইন্টারনেট প্রবাহিত হয় সেই তারে ইলেকট্রিক সার্কিট-এর কন্ডাক্টার নষ্ট হয়ে একটি ত্রুটি দেখা দিয়েছে যেখানে পলিথিন নিরোধক-এ পানি প্রবেশ করেছে। সারা দেশে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ আসে মূলত গভীর সমুদ্রের মধ্য দিয়ে আসা দুটো সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪-এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৫ ঢুকেছে কুয়াকাটা হয়ে। সি-মি-উই-৫ সিস্টেমের অন্যতম মালিক বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানির (বিএসসিপিএলসি) একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গত শনিবার সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দূরে তারের ক্ষতি হয়েছে। ফলস্বরূপ, সিঙ্গাপুর এবং SEA-ME-WE ৫-এর কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের মধ্যে সমস্ত ইন্টারনেট পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
১৭ এপ্রিল তারিখে, বিএসসিপিএলসি ঘোষণা করেছিল যে তারের ওপর রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে, যার ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হবে, যদিও এই রক্ষণাবেক্ষণটি বিভ্রাটের জন্য দায়ী কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইউনাইটেড ক্যাবল কোম্পানির রডারিক বেক অনুমান করেছেন, ‘বর্তমান দীর্ঘমেয়াদি বিভ্রাটের পরে একটি অস্থায়ী বিভ্রাটের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আমার ধারণা হলো যে তারের একটি শান্ট ফল্ট হয়েছে যেখানে পলিথিন নিরোধক-এর ভিতর দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। রিপিটারগুলি স্বল্প মেয়াদের ক্ষতিপূরণ করে দিতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বৈদ্যুতিক শর্ট বেড়েছে এবং সিঙ্গাপুরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ Tuas CLS-এর সাথে সংযোগ সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ এখনো ক্যাবলের পশ্চিম অংশ থেকে ১০০ জিবিপিএস ক্ষমতা অ্যাক্সেস করতে সক্ষম, যা লোহিত সাগর এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের টুলন পর্যন্ত যায়।SEA-ME-WE ৫ ক্যাবলের ক্ষতি মানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষমতার ১.৭ টেরাবিটস হারিয়েছে। SEA-ME-WE ৪ ৮০০ জিবিপিএস এবং টেরেস্ট্রিয়াল ফাইবার লিঙ্ক ২.৭ টিবিপিএস প্রদান করে। SEA-ME-WE কেবল NEC এবং ASN দ্বারা সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই ৬ থেকে আরো ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে।