মায়ামিতে ভবন ধস: নিহত বেড়ে ৪, এখনও নিখোঁজ ১৫৯ জন

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যে মায়ামির সার্ফসাইড শহরে ১২ তলা ভবন আংশিক ধসে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫৯ জনের খোঁজ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

মায়ামি-ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবন ধসের ঘটনায় বৃহস্পতিবার একজন মারা গেছেন। এরপর রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে বের করা হয়েছে আরও তিনটি লাশ।

৯৯ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল, এ সংখ্যাও এখন বেড়েছে বলে জানান লেভিন। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তুপ থেকে মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা এখনও আছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তুপে শুনতে পাচ্ছেন জীবনের আর্তনাদ।

নিখোঁজদের স্বজনরা চেয়ে আছেন যদি অলৌকিকভাবেও প্রিয়জনের সন্ধান মেলে সে আশায়। উদ্ধারকর্মীরা অনুসন্ধানী ক্যামেরা এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকাদের সন্ধান করছে। চাপা পড়াদের কাছে পৌঁছতে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং থেকে ভবনের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে।

উদ্ধার তৎপরতা কঠিন করে তুলছে অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো বাতাস। তারপরও উদ্ধারকাজ বন্ধ হবে না এবং জীবীতদের সন্ধানে যথাসম্ভব সবকিছু করা হবে বলে শুক্রবার আশ্বাস দিয়েছেন মায়ামি-ডেড কাউন্টির মেয়র।

 

চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউদ নামের বহুতল ভবনটির একটি অংশ বৃহস্পতিবার ধসে পড়ে। আর ভবনের যে অংশটি দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখান থেকে ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক অগ্নিনির্বাপণ কর্মকর্তা।
তবে ৪০ বছরের পুরোনো এই ভবনটি কিভাবে ধসে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি এবং ধসের সময় এতে কতজন মানুষ ছিলেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ১২ তরা এই ভবনের কিছু অংশে সংস্কারের কাজ চলছিল এবং ছাদ নির্মাণ করা হচ্ছিল।

গত বছরের একটি গবেষণায় মহাশূন্যের রাডার থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ভবনটির নিচের মাটি ১৯৯০ এর দশক থেকে দেবে যাচ্ছে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বছরে ভবনটি দুই মিলিমিটার করে দেবেছে।

বিশেষজ্ঞরা মাটির এই দেবে যাওয়াকে ভবন ধসের কারণ বলে মনে না করলেও বলছেন, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার দরকার আছে। কারণ, মাটি দেবে যাওয়ার ফলে ভবনটি কাঠামোগতভাবে দুর্বল হয়ে থাকতে পারে।