ডেস্ক রিপোর্ট:
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে তীব্র লড়াই করছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) বিদ্রোহীরা। ফলে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দলে দলে শরণার্থীরা ভারতের মিজোরামে প্রবেশ করছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রাইফেলস মিয়ানমার সীমান্তের কাছে মিজোরামের বসতিতে গ্রাম প্রধান এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছে এবং প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন লড়াইয়ের ফলে মিয়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে ভারতে চিন-কুকি শরণার্থীদের আরেক দল শরণার্থীর ভিড় শুরু হয়েছে। এখানে ৭ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আসাম রাইফেলস অফিসাররা পূর্ব মিজোরামের চাম্পাই জেলার গ্রাম প্রধান এবং সুশীল সমাজ গ্রুপ ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা জান্তার সেনাবাহিনী এবং পিডিএফ-এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ফলে শত শত শরণার্থী মিজোরামের সীমান্ত গ্রামে পালিয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
গ্রামবাসীদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মিজোরামের চামফাই জেলার জোখাওথার গ্রামে মিয়ানমার থেকে ১০০টির বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জোখাওথার গ্রামে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের ৬ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমার থেকে প্রায় ৩২ হাজার পুরুষ, মহিলা ও শিশু মিজোরামের অনেক জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।
মিজোরামের ছয়টি জেলা— চাম্পাই, সিয়াহা, লংটলাই, সেরচিপ, হানথিয়াল ও সাইচুয়ালের সঙ্গে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের ৫১০ কিমি দীর্ঘ বেড়হীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। আসাম রাইফেলস ভারত-মিয়ানমারের এই সীমান্ত পাহারা দেয়।
মিজোরামের প্রতিবেশী মণিপুর রাজ্যে শরণার্থী এবং অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যার তীব্র বৃদ্ধির মধ্যে জমি, সম্পদ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা সঙ্কুচিত হওয়ার ইস্যুতে পার্বত্য-সংখ্যাগরিষ্ঠ চিন-কুকি উপজাতি এবং উপত্যকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের মধ্যে তীব্র জাতিগত সংঘর্ষ বেধেছে।