ক্রীড়া ডেস্ক:
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৯২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। শারজাতে অল্প পুঁজি নিয়েও বোলারদের দক্ষতায় বড় জয় পেয়েছে তারা। যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান আল্লাহ মোহাম্মদ ঘাজনফার।
শারজায় গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট নেন ঘাজনফার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার তানজিদ হাসানকে ফেরানোর পর তিনি নিয়েছেন বাংলাদেশের শেষ সাত উইকেটের পাঁচটি।
গত মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন ঘাজনফার। এই ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের জার্সিতে মাত্র ৪টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল তার। সবমিলিয়ে তার ঝুলিতে ছিল ৫ উইকেট। এবার এক ইনিংসেই পেলেন ৬ উইকেট। প্রথমবার ইনিংসে ৫ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পেলেন।
ম্যাচ শেষে ঘাজনফার বলেছেন এভাবে, ‘প্রথম স্পেলে যখন বোলিং করতে আসি, ছন্দ ভালোই ছিল। একটি উইকেট পাই। কিন্তু ওই উইকেট পাওয়ার পর ভালো বোলিং করতে পারিনি। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে শক্তিশালী হয়ে ফেরার কথা চিন্তা করেছি এবং আমি তা পেরেছি। চেষ্টা করেছি, দলের জয় আনতে পেরেছি। দলের হয়ে ৫-৬ উইকেট নেওয়া যেকোনো বোলারের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন ছিল, যেটা আজ পূরণ হয়েছে।’
দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবির থেকে মাঠে সাহায্য পেয়েছেন ঘাজনফার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রশিদ ও নবীর ভূমিকা আমার বোলিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা সব সময় আমাকে কার্যকর পরামর্শ দেন, যা ম্যাচে ভালো ফল এনে দেয়।’
আফগান এই স্পিনারকে বাংলাদেশ প্রথম দেখলেও তার প্রতিভা ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে আগেই। আইপিএলের গত মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন। এই বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন। চার ম্যাচে আট উইকেট শিকার করেন। তার বোলিংয়ের ধরন দেখে তখনই তার দিকে নজর পড়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক বিশেষজ্ঞের। যুব বিশ্বকাপের মাস খানেক পরই আফগানিস্তানে হয়ে অভিষেক হয়ে যায় ওয়ানডেতে।
ঘাজনফারের গল্প অন্যান্য আফগান ক্রিকেটারের মতোই। ছেলেবেলায় টেনিস বলে খেলতেন। তার পর একটি একাডেমিতে নাম লেখান। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার কারণে শুরুতে ছিলেন পেসার। পরে স্পিন বোলিংয়ে তার সহজাত প্রতিভা দেখে তাকে স্পিনার হতে বলেন কোচরা। তাকে নিবিড় যতেœ গড়ে তোলেন সাবেক আফগান অধিনায়ক দাওলাত আহমাদজাই।