সাইফুল ইসলাম:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে জেলি মেশানো চিংড়ি ও বাসি মাংস জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জব্দকৃত এসব চিংড়ি ও মাংস ধ্বংস করা হয়। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে,৭ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কৃষি অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে এ আদালত পরিচালনা করে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে মাংসের বাজারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে একটি দোকানে আগের দিনের মাংস পাওয়া যায়। এরপর মাছের বাজারে অভিযানে বিভিন্ন দোকানে জেলি দেওয়া ও পচা চিংড়ি পাওয়া যায়। পরে সেসব মাছ ও মাংস জব্দ করে হারপিক ঢেলে ধ্বংস করা হয়। মাছ ও মাংসের বাজারের পর ডিম, মুরগি, সবজি, ফল ও মসলাসহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অনেক দোকানে কোম্পানির নাম ও উৎপাদন তারিখবিহীন বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। তাদের এ ব্যাপারে সচেতন করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
অভিযান শেষে ঢাকা বিভাগের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি এম মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা অভিযানে বিভিন্ন মাছ পরীক্ষা করে পচা ও জেলিযুক্ত মাছ পেয়েছি। সেগুলো জব্দ করেছি। তিনি আরও বলেন, চিংড়িতে এখন তিন ধরনের জেলি ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি সাধারণ জেলি, ময়দা দিয়ে তৈরি করা জেলি এবং তরল জেলি। এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ কেনার সময় জেলি আছে কি না সেটি তারা পরীক্ষা করে নেন। কারণ এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিডনির সমস্যা ও ক্যানসারসহ অনেকগুলো রোগ হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, খাবার উৎপাদন থেকে ভোক্তার পাতে যাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে সেটি অনিরাপদ হতে পারে। সেটি যেন না হয়, সেজন্য আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে আজ মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে এসেছি।