যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বজলুর রহমান এর সহধর্মিনী শিরীন আহামেদ ঢাকা-১৩ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী

প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম :

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বজলুর রহমান এর সহধর্মিনী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আহামেদ ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর আংশিক) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এ আসনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটার রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী। বিগত পাঁচ বছরে ঢাকা ১৩ আসনের ৭টি ওয়ার্ডে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৯ টাকা ব্যয়ে ধর্মীয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খাতে ২০৪টি উন্নয়ন প্রকল্প সততার সহিত বাস্তবায়ন করেছি।

শিরীন আহামেদ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ দিন এবং প্রথম জাতীয় সম্মেলনে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, আমি ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের প্রত্যাশায় মনোনয়ন আশা করছি। আমাকে যদি এ আসনের জনগণের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব দেন তাহলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকাকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসমরের সাহসী গ্রুপ কমান্ডার, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বজলুর রহমানের সহধর্মিনী তিনি।
মো. বজলুর রহমান স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (রাজনৈতিক) হিসাবে নিয়োগ পান। ১৯৭২-৭৩ সালে ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে গোলাগুলির শব্দে দৌড়ে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কারফিউ থাকায় যাওয়ার সাধ্য হয়নি। পরদিন সান্ধ্য আইন এক ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান, যার সাক্ষী ছিলেন শেখ কবির এবং ডিএসপি ইউসুফ সাহেব। পরে বজলু সাহেবকে জিগাতলার বাসা থেকে তার সহযোগী অসিত সরকার সজল ও মানু মজুমদারসহ (বর্তমানে এমপি) গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর তাদের ধানমন্ডি থানায় রাখা হয় ১৭ দিন, তারপর নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। নির্যাতনে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ছয় মাস হাঁটতে পারেননি। তাদের বিচার শুরু হয় ১নং বিশেষ সামরিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। বিচারে মো. বজলুর রহমান ও তার দুই সঙ্গীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত প্রথম ফাঁসির দণ্ডাদেশ। ৯ বছর কারাভোগের পর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ১৯৮৫ সালের ১৯ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায়ও তিনি আহত হয়েছিলেন।