রতন টাটার ‘ফেইক’ উক্তি যেভাবে বদলে দেয় মায়াঙ্কের জীবন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে নেমে গতির ঝড় তুলেছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পেসার মায়াঙ্ক যাদব। নিজের অভিষেক ম্যাচেই পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন। যা চলতি আসরের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড ছিল।
অবশ্য নিজের গড়া সেই রেকর্ড মায়াঙ্ক নিজেই ভেঙে ফেলেছেন পরে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তার একটি ডেলিভারি ছিল ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতির। আর তাতে ২১ বছর বয়সী তরুণ এই পেসার আসরের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডে নতুন করে নাম তুলে ফেলেছেন। আইপিএলের সর্বোচ্চ রেকর্ডধারী বোলারদের তালিকায়ও ঢুকে গেছেন মায়াঙ্ক। লখনৌর তরুণ এই পেসারের আগে কেবল তিনজন গতিমান বোলারের নাম রয়েছে। যেখানে সবার শীর্ষে আছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার শন টেইট।
আইপিএলে নজরকাড়া মায়াঙ্ক যাদবকে নিয়ে তুমুল চর্চা হচ্ছে। শুনলে অবাক হবেন ভারতের ধনকুবের রতন টাটার একটা ফেইক উক্তি বদলে দিয়েছিল এই গতিময় পেসারের জীবন।সোশ্যাল মিডিয়া ফিডে কতকিছুই তো আমাদের সামনে আসে। অনেকেই লাইক-কমেন্ট ও শেয়ার করেন। আবার অনেকেই আছেন, কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির কোট থেকে প্রেরণা নেন। যদিও সব ক্ষেত্রেই যে সেই কোট সত্যি হয় তা নয়। কখনও অনেকের নাম দিয়ে কোট ছাড়া হয়, যেগুলো আদৌ তাদের নয়। এমন উক্তিও অনেকের জীবন বদলে দিতে পারে। অবিশ্বাস্য হলেও যেমনটা হয়েছে মায়াঙ্ক যাদবের ক্ষেত্রে।
লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পেসার মায়াঙ্ক যাদবের কাছে একটা সময় সুযোগ এসেছিল নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। সেই সুযোগটা নেননি মায়াঙ্ক। তার পছন্দ ক্রিকেট। সে কারণেই নৌবাহিনীতে যোগ দেননি। আর এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে সাহায্য করেছিল রতন টাটার একটি ফেইক কোট। মায়াঙ্কের কোচ অবশ্য চাকরি না করার সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না। তার অন্যতম কারণ চোট। যে কারণে মায়াঙ্কের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিরাপত্তাহীনতা ছিল। এখনও তা পুরোপুরি না মিটলেও, একটা আশার আলো রয়েছে।
রতন টাটার সেই ‘ফেইক’ কোটের বিষয়টি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন মায়াঙ্ক। তরুণ এই পেসার বলছেন, ‘আমি কোথাও একটা পড়েছিলাম যে রতন টাটা বলেছেন- আমি সঠিক সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করি না। আগে সিদ্ধান্ত নিই, তারপর সেটাকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করি। এই মন্তব্যটা আমার মনে দাগ কেটেছিল।’
প্রশ্ন আসতেই পারে, এই কোটকে কেন ফেক বলা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটাকে এই কোট নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও খুঁজলে পাওয়াই যাবে। যেখানে তাকে এই কোটের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, রতন টাটা পরিষ্কার করে দেন, তিনি এমনটা কখনও বলেননি। অবশ্য, তাতেও বা কী যায় আসে! মায়াঙ্কের জীবন তো কিছুটা হলেও বদলে গেছে।