রাকিবুলের হাত ধরে দ্বিতীয়বারের মত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের হাত ধরে দ্বিতীয়বারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা। সুপার লিগ তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে বাংলাদেশ ১০৪ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পচেফষ্ট্রুমে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪২ দশমিক ৩ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে নিজ মাঠে ২০১৬ আসরে প্রথম ও শেষবার টুর্নামেন্টের সেমিতে উঠেছিলো বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশকে ১২ ওভারে ৬০ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৪০ বলে ১৭ রান করে ফিরেন ইমন। তিন নম্বরে নেমে ৩ রার করে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলে । দলীয় ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ৫৭ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি দলের পক্ষে আনেন তানজিদ ও তৌহিদ হৃদয়। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮০ রানে বিদায় নেন তানজিদ। ৮৪ বলের ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি হাকান তিনি।
তানজিদের বিদায়ের পর দলের পক্ষে বড় জুটি গড়েন হৃদয় ও শাহাদাত হোসেন। চতুর্থ উইকেটে ১১৬ বলে ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৭তম ওভারে দলীয় ২৩২ রানে আউট হন হৃদয়। ৭৩ বল মোকাবেলা করে ২টি চারে নিজের ৫১ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি।
তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে বাংলাদেশকে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬১ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন শাহাদাত ও অধিনায়ক আকবর আলি। শাহাদাত ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৬ বলে অপরাজিত ৭৪ রান করেন। আকবর ১১ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেন।
জবাবে খেলতে নেমে দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডান-হাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট শিকারের উপলক্ষ এনে দেন।
এরপর ভেল্কি দেখান স্পিনার রাকিব। তার স্পিন বিষে খেই হারিয়ে ফেলেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। পাশাপাশি অন্য বোলাররাও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন। নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। ১৪৩ রানে সপ্তম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন লুক বিউফোর্ট।
বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ১৯ রানে ৫ উইকেট নেন। তাই ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাকিবুল। গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাট্টিক করেছিলেন রাকিবুল।