ডেস্ক রিপোর্ট :
পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কালাদান নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর শহর পালেতোয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। শহরটি বাংলাদেশ-ভারত সীমানার পাশে অবস্থিত। দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের আরেকটি সফলতা ও সরকারের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ নগর গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে বিদ্রোহীদের কাছে বেশ কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা। এর মধ্যে সর্বশেষ রাখাইনের একটি শহরে নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা ঘটল।
১৪ জানুয়ারি একটি বিবৃতিতে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইন থু খা সীমান্ত স্থিতিশীলতা সম্পর্কে উদ্বেগগু প্রকাশ করেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন৷ তারা পলেতোয়া অঞ্চলে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলার ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছাও জানিয়েছে।
তবে চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য জান্তা সরকারের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে আরাকান আর্মির দাবিও রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি।
মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী গণতন্ত্রপন্থী সরকারের সমর্থনে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছে অনেক শহর ও সামরিক স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা। ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জান্তার জন্য বিদ্রোহীদের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারানোকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে চীন সীমান্তের কাছে শান প্রদেশের লুক্কাই শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা। আরেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের মধ্যস্থতায় চীনা সীমান্ত এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় জান্তা। চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় চীনের কুনমিং শহরে দুই পক্ষের বৈঠক হয়।
তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অভিযোগ, জান্তা সেনারা যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে শান প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা করেছেন।