রাজধানীতে অফিস পার্টিতে মদ্যপানে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু : গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩

মো সাইফুল ইসলাম :

রাজধানীতে অফিস পার্টিতে মদ্যপানে মাহফুজা খাতুন (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার  অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন-  রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘থিংকিং ক্র্যাফট’র মালিক সাফওয়ান বিন মোয়াজ্জেম ও তা পরিচিত একব্যক্তিসহ প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আরও দুজন নারী সহকর্মীও রয়েছেন। আজ রোববার (১৮ জুন) সকালে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন  মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। 

তিনি জানান, নিহত মাহফুজা খাতুন (২২) ছিলেন লালমাটিয়া ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স কলেজের টেক্সটাইল বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ওই ছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি করতেন। লালমাটিয়াতেই একটি ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন ওই শিক্ষার্থী।

ওসি আবুল কালাম আজাদ নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, কলেজ ছাত্রী মাহফুজা নামের ওই তরুণী যে প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি করতেন, সেটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান ছিল গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন)। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মালিকের নির্দেশে ওইদিন রাতে অফিসে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পাশাপাশি মদও ছিল। ওই তরুণী মদ্যপান করেছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। পার্টি শেষে শুক্রবার ভোরে হোস্টেলে ফেরেন ওই তরুণী। কিন্তু কিছু সময় পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরা বিভিন্নভাবে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে জানতে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় শনিবার (১৬ জুন) তরুণীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি তুরাজ, সাফওয়ান বিন মোয়াজ্জেম, মো. রানা, ঐশী, অমি চক্রবর্তী, তানজিলা জান্নাত ও তানজু নামে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মচারীদের আসামি করেছেন। পরে পুলিশ ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে মদ ও বিয়ারের বোতল উদ্ধার করে এবং আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে। প্রতিষ্ঠানটির আরও তিনজন মালিক রয়েছেন, যারা এ ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের ধরতে ও অবস্থান সনাক্তের জন্য সম্ভাব্যস্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে কাজ করছে পুলিশ।