আমিনুল ইসলাম বাবু:
রাজধানীর কদমতলীর দনিয়া এলাকায় নাজমুল সাকিব নিলয় (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিলয় এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার জিংলাতলী গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে ৬৪৫/এ নম্বর দনিয়া সরাই মসজিদ রোড এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিলয়ের মা নাজনীন আক্তার জানান, ‘আমার ছেলে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। একে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।’ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিকেলের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে নিলয় বাইরে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যার দিকে তার বন্ধুরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় বাসায় দিয়ে যায় এবং বলে নিলয় নাকি ছাদ থেকে পড়ে গেছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার কোনো চিহ্নই তার মাথায় বা পায়ে দেখা যায়নি। শুধু হাতের কব্জিতে খামচির চিহ্ন, পিঠে আঘাতের চিহ্ন এবং ঘাড় মটকানো দেখা গেছে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানায় আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। এই ঘটনা কীভাবে হলো তা আমরা পরিবারের কেউ জানি না।’কান্নাজড়িত কন্ঠে মা নাজনীন আক্তার বলেন, তার ওই বন্ধুরা তাকে বাসার গেটে দিয়েই আমাদেরকে জানিয়ে চলে যায়। তার বন্ধুরাই জানে কি ভাবে নিলয় মারা গেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ঘটনার সব কিছু পাওয়া যাবে।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে স্কুল ছাত্র নিলয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিহত স্কুল ছাত্র নিলয়ের সঙ্গে শুধু তার মা এবং খালা এসেছিল হাসপাতালে। কোনো বন্ধুবান্ধব আসেনি। সে ছাদ থেকে পড়েছে না মারধরের শিকার হয়ে মারা গেছেন তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। তার পরিবার বলেছে, বিষয়টির রহস্যজনক। তারা নিজেরাও কেউ জানে না কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের মা বলেন, বন্ধুরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাসায় দিয়ে গেছে। তাদের নাম ও পরিচয় আমি জানি না। তবে দেখলে চিনতে পারব।