আমিনুল ইসলাম বাবু:
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় খাইরুল ইসলাম (২৭) নামে আদম আলী মার্কেটের এক মাংসের দোকানের কর্মচারীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, খবর পেয়ে আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পুলিশ গিয়ে ওই দোকানের ভেতর থেকে কর্মচারী খাইরুলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়ায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ওই মাংসের দোকানের মালিক সাজ্জাদ হোসেন সম্পর্কে নিহত খাইরুলের মামা। তারা মামা-ভাগ্নে দুজনেই উত্তর বাড্ডার বড় বেরাইদ এলাকায় থাকেন। নিহতের মামা দোকান মালিক সাজ্জাদ পুলিশকে জানিয়েছে- গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি না গিয়ে দোকানের ভেতরেই ঘুমিয়েছিলেন খাইরুল। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তিনি তার দোকানে গিয়ে সাটার বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তখন খাইরুলকে ডাকতে থাকেন তিনি। কোনো সাড়া না পেয়ে একপাশ দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন কাঁথা মোড়ানো রক্তাক্ত অবস্থায় খাইরুল মেঝেতে পড়ে আছেন।
ওসি আরও বলেন, নিহত খাইরুলের মুখমন্ডল ও ঘাড়ে ধারালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাইরুলের চোখ এবং নাক বরাবরে একটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও তার পিঠে কোপ দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারণ কসাইয়ের দোকানে গরুর মাংশ বেচা-কেনার টাকা-পয়সা থাকলেও কোনো কিছু নেওয়া হয়নি। খাইরুলের সাথে কারো পূর্ব শত্রæতা থাকতে পারে। সেজন্যই হত্যাকান্ড কিনা সেটা তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি। তবে পুলিশ ওই এলাকার আশপাশে অনেক সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এছাড়া অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তার সূত্র ধরে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের ধারণা, গতকাল রোববার রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। নিহত খাইরুলের গ্রামের বাড়ি ঢাকার বাড্ডার বেরাইদ এলাকায়। তার বাবার নাম আলতাফ হোসেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান।