সাজ্জাদ হোসেন :

রাজধানী ঢাকায় শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানায়নি।

জানা গেছে, শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন সমন্বিত আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার (জেনারেল) পদের মৌখিক পরীক্ষা, ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল, কেন্দ্রীয় সার্কেল, ঢাকার আওতাধীন আটটি ক্যাটেগরির পদের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থগিত করা হয়েছে শুক্রবার অনুষ্ঠেয় পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) চার ক্যাটেগরির লিখিত পরীক্ষাও।

তবে আগামীকাল জনতা ব্যাংকের অফিসার (আরসি) পদের পরীক্ষা স্থগিতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক উত্তেজনার বিষয়টি মাথায় রেখে এ পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

জনতা ব্যাংকে আরসি পদে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ৮৭৩ জন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২৭ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ডাক বিভাগের অধীন পোস্টমাস্টার জেনারেল, কেন্দ্রীয় সার্কেলের আটটি পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশে বলা হয়, বাছাই/নির্বাচন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে আয়োজনের বিষয়ে প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস যাবে।
পোস্টমাস্টার জেনারেলের অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অনেক প্রার্থী ই-মেইলে ও ফোনে আমাদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন পরীক্ষা পেছাতে।

বিনায় চার ক্যাটাগরির লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তিতেও পরীক্ষার নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন সমন্বিত ৮টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র অফিসারের (জেনারেল) ১ হাজার ৬৯টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য আগের নির্ধারিত মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের পরিচালক সাঈদুর রহমান খান বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের শুক্রবারের পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়নি। তবে শনিবারের সমন্বিত আট ব্যাংকের পরীক্ষাটির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।’

পরীক্ষা স্থগিতের কারণ কী, তা জানতে চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার্থীদের অনুরোধে মানবিক বিবেচনায় এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ পরীক্ষা দিতে এসে কোনো ঝামেলায় পড়ুক, তা আমরা চাই না।