ঢাকা প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার সকালে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলো ফাঁকা দেখা যায়। সকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহন খুব কম চলতে দেখা গেছে। রিকশা, মোটরযুক্ত রিকশা আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে লোকজন গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
উত্তরা ও বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে পর্যন্ত, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, আসাদ গেট, ফার্মগেট, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, তেজগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রোববার সকালে বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের একটি পয়েন্টেও কোনো ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
রাজধানীর আব্দল্লাহপুরে দেখা যায়,প্রজাপতি, বসুমতি, ভিআইপি, ভিক্টর ক্ল্যাসিক ও প্রচেষ্টাসহ কিছু রুটের বাসের দেখা মিলছে কালেভদ্রে। তবে এসব বাসেও যাত্রীর চাপ নেই। বিমানবন্দরের সামনে থেকে উত্তরার জসিমউদ্দিন, রাজলক্ষ্মী, আজমপুর এবং আব্দুল্লাহপুর ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
উত্তরার কোথাও পুলিশের উপস্থিতি না থাকলেও বিমানবন্দরের সামনে একদল পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রোববার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ এসব এলাকার দোকানপাট অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে।
উত্তরার আজমপুর রেলগেটের দিক থেকে অটোরিকশায় করে আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে মূল সড়কে নামলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হাসিবুর রহমান। তিনি সমকালকে বলছিলেন, কারওয়ান বাজারে অফিসে যেতে হবে, কত টাকায় যেতে পারব তার ঠিক নেই। যদিও অফিস থেকে গতকাল বলেছিল, অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচিতে নিরাপত্তার সমস্যা দেখা দিলে যেন অফিসে না যাই। কিন্তু সকালে ফোন করেছে যেতেই হবে, জরুরি কাজ পড়েছে। বাস না পেলে সিএনজি বা মোটরসাইকেল যা পাই তাতেই যাওয়া লাগবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) সমকালকে বলেন, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রেখে ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে ট্রাফিক পুলিশ। কৌশলগত জায়গাগুলোর প্রতি বিশেষভাবে নজর রেখে কাজ করা হচ্ছে।