রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বাসের চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহী থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর শিরোইল বাস কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকের আগের টিকিট কাটা ছিল। কেউ কেউ গন্তব্যে রওনা দেওয়ার জন্য এসে দেখছেন বাস চলাচল বন্ধ।
সাদিয়া ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, তিনি ঢাকা যার উদ্দেশ্যে সকালে চিরলের বাস কাউন্টার এসেছিলেন। এসে দেখেন, কাউন্টার খোলা আছে তবে টিকিট বিক্রি বন্ধ। কখন বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে তা জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর শিরোইল বাস কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকের আগের টিকিট কাটা ছিল। কেউ কেউ গন্তব্যে রওনা দেওয়ার জন্য এসে দেখছেন বাস চলাচল বন্ধ।
সাদিয়া ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, তিনি ঢাকা যার উদ্দেশ্যে সকালে চিরলের বাস কাউন্টার এসেছিলেন। এসে দেখেন, কাউন্টার খোলা আছে তবে টিকিট বিক্রি বন্ধ। কখন বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে তা জানানো হয়নি।
অপরদিকে নগরীর রেলগেটে এলাকায় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকজন চালক আহত হয়েছেন। চালকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- শ্রমিকরা ভাঙচুর করছে। তবে বাস শ্রমিক নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর উপজেলায় দুটি বাসের চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকরা রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে যাত্রীবাহী বাস সড়কে রেখে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে রাজশাহীতে থেকে আর কোনো রুটে যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। এর আগে একই দিন বেলা ১১টার দিকে তানোর উপজেলার মণ্ডমালা সড়কের বাবুল নার্সারির পাশে এই ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন বাস শ্রমিক স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও কন্ডাক্টর জিয়াকে মারপিট করা হয়। তাদের মারধরের জেরেই রাজশাহী থেকে আন্তঃজেলা রুটের বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তানোর সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি সুমন চৌধুরী বলেন, পবার বাগধানী দিয়ে তাদের অটোরিকশা চলতে দিতে চায় না বাস শ্রমিকরা। যাত্রী নামিয়ে দেয় বাসের লোকজন। দীর্ঘদিনের এমন সমস্যা নিরসনে গত ২৪ নভেম্বর থেকে সিএনজি মালিক চালকদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যা সমাধান হয়নি। গতকাল রোববার দুপুরে বাগধানীতে শামীম নামের একজন সিএনজি চালককে মারপিট করে বাসের শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের এখনও কন্ট্রোল করতে পারিনি। কিভাবে কন্ট্রোল করব বলেন, আমাদের সাত থেকে আটজন শ্রমিক হাসপাতালে রয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।
দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও শ্রমিকদের মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমন হতে পারে তারাই এ ঘটনা ঘটে আমাদের ওপরে চাপাচ্ছে।