নিজস্ব প্রতিবেদক:
এ সময় মুসল্লিরা বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন। নামাজে বিভিন্ন এলাকার শত শত মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন এবং দোয়া করেন।
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলের শিক্ষক ও তেরোখাদিয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী এই নামাজের ইমামতি করেন। নামাজ শেষে তিনি আরবিতে খুতবা দেন। এরপর তিনি তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।
নামাজ আদায় শেষে মাওলানা আবুল কাশেম ফারুকী বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনেত ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, আল্লাহ সুবাহানাতালার কাছে বৃষ্টি চেয়ে আমরা এখানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। এ সময় মুসল্লিরা নিজেদের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। একই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহ দরবারে প্রার্থনা করে।