মাদারিপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ১২টি বাচ্চাসহ একটি সাপ পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী। সাপটি পিটিয়ে মারার সময় সাপের পেটের ভেতর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে জীবিত ১২টি বাচ্চা। আর এতে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে সাপআতঙ্ক।
সোমবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় উপজেলার দ্বিতীয় খন্ড ইউনিয়নের কাজীকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় খন্ড ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাজী কান্দী গ্রামের করিম খানের বাড়ির পাশে নতুন পানিতে সন্ধ্যায় সাপটি দেখতে পায় রিয়াজুল নামে এক কিশোর। পরে সেই কিশোরের ডাকে আতাউর রহমান আতা নামে স্থানীয় এক কৃষক গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সাপটিকে পিটিয়ে মারেন। সাধারণত সাপ ডিম পারে কিন্তু এ সাপের পেট থেকে একের পর এক সাপের বাচ্চা বের হতে দেখা যায়। রাসেলস ভাইপার সন্দেহে মুহূর্তের মধ্যে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সাপটিকে দেখতে জড়ো হতে থাকেন উৎসুক জনতা। সাপটি মেরে ফেললেও এলাকাবাসীর মধ্যে সাপ আতঙ্কে এখনও কাটেনি।
কৃষক আতাউর রহমান বলেন, ‘এরকম সাপ আমি জীবনেও দেখি নাই। সাপটি ফোঁস ফোঁস শব্দ করছিল। সাপটি পিটিয়ে মারার সময় দেখি পেটের ভেতর থেকে ১২টি বাচ্চা বের হইছে। এর আগে সাপের ডিম দেখেছি, ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে তাও দেখেছি। এই প্রথম সাপের পেট থেকে বাচ্চা বের হতে দেখলাম। আর রাসেলস ভাইপার সাপই তো বাচ্চা প্রসব করে। এখন আমরা রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কে রয়েছি।’
একই গ্রামের করিম খান বলেন, ‘সাপটি আমার ঘরের পাশে জোয়ারের নতুন পানিতে দেখতে পায় রিয়াজুল নামের একজন। আমরা জানতাম না এটি কী সাপ। তবে সাপের পেটের ভেতর থেকে বাচ্চা বের হতে দেখে বুঝতে পেরেছি এটি রাসেলস ভাইপারই হবে। এখন আমরা গ্রামবাসী সাপ আতঙ্কে আছি।’
বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায় নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলে। তার ওপরে এ বছর দেশজুড়ে রয়েছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন উপজেলা পর্যায়ে সাপের এন্টিভেনম আছে তো?
এ বিষয়ে আরটিভিকে মুঠোফোনে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘সাপ আতঙ্কে থাকার কিছু নেই। আমাদের জেলা ও উপজেলার সবগুলো সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম রয়েছে। কেউ সাপ দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে চলে আসতে হবে।’