লালমনিরহাটে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, ১৭ দোকানে ভাঙচুর-লুটপাট

প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটে পূর্ববিরোধের জেরে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে ডাকাতি করার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীরা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার হাজরানিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন ১৭টি দোকান ভাঙচুর ও নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এ সময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন—মোজাম খা, মশিউর রহমান, ইসমাইল হোসেন, রবিউল ইসলাম, মতিউল ইসলাম ঝন্টু, মকসুদার রহমান, জিয়ারুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, রিয়াজুল ইসলাম, বুলু মিয়া, ভুট্টা, জাহাঙ্গীর হোসেন, একাব্বর মিয়া, ফরিদুল ইসলাম, আবু সায়েম, নয়ন মিয়া।

আহত ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, হামলাকারীরা হঠাৎ আমাদের দোকানে আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে কীভাবে ঈদ পালন করব বুঝতে পারছি না।

মুদি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে বাজারে কথা কাটাকাটি হয়। এই কারণে দোকানগুলোতে হামলা করে লুটপাট করবে—এটা কখনোই ভাবিনি। দোকানের মালামালসহ যে ক্ষতি হয়েছে এটি বলার মতো নয়। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চাই।পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ভোটমারী গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে হাজরানীয়া বাজারের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান মিন্টুর ওই বাজারে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে কিছুক্ষণ পর একদল মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে বাজারে থাকা মোজাম খাঁ নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে ব্যবসায়ী মিন্টুসহ অন্তত ১৫ জন হামলার শিকার হন। যাদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মারধরের পর বাজারের বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভুাঙচুর ও লুটপাট করে চলে যান হামলাকারীরা।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রেয়াজুল ইসলাম ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে রাতেই কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, খবর পেয়ে যৌথবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পরে ব্যবসায়ীরা থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। আহত ব্যবসায়ীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।