মোঃ ইসমাইল হোসেন:
শপথ নিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। এ সময় তার পাশে ছিলেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনের সময়ও মায়ের পাশে ছিলেন তিনি।
আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শপথবাক্য পাঠ করান।
এ সময় জায়েদা খাতুনের সঙ্গে শপথ নেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
এরপর একই স্থানে তিন সিটির সাধারণ ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ১৭৭ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা শপথ নেন। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গাজীপুরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। এই সিটিতে গত ২৫ মের নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু দল মনোনয়ন দেয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে।
পরে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি তার মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। ঋণখেলাপির জামিনদার হওয়ায় জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন।
এমন পরিস্থিতিতে মেয়রপ্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন ৬১ বছর বয়সী জায়েদা খাতুন। এ সময় মায়ের সঙ্গে দিনরাত প্রচার চালান জাহাঙ্গীর। ভোটের প্রচারে জায়েদা খাতুন নিজেকে জাহাঙ্গীরের মা হিসেবেই পরিচয় দেন। ফলে ভোটের লড়াইয়ে কার্যত আজমত উল্লার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাহাঙ্গীর।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান। তিনি ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছিলেন।