শাজাহান খানের মানহানি মামলায় খালাস পেলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলামসহ তিনজন

প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের দায়ের করা মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম, সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রতিবেদক জসীম চৌধুরী সবুজ। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সালমা ইসলাম ও সাইফুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলার বাদী শাজাহান খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। রায় ঘোষণার পর যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সবসময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে। এজন্য দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে।


সম্পাদক সাইফুল আলম রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একটা হয়রানিমূলক মামলায় দীর্ঘ ১২ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। যুগান্তরে বাদীর প্রতিবাদ লিপি ছাপার পরেও একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাশা করা যায় না। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জিয়াউল হক ও মোরশেদুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে নৌমন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা অপচয়, ১৪ বার বিদেশ সফর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটির প্রতিবেদক জসিম চৌধুরী সবুজ লেখেন। এছাড়া পরদিন ২৫ আগস্ট যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ‘নৌ খাতে অহেতুক অপচয়’ শিরোনামে সম্পাদকীয় কলাম লেখা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, শাজাহান খান অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ১৪ বার বিদেশ সফর করেছেন। যা সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন শাজাহান খান।


তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পরে ৬ বার বিদেশ সফর করেছেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ১ বার বিদেশ সফর করেছেন। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন যুগান্তর পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ পাঠালেও যুগান্তর কর্তৃপক্ষ ভেতরের পাতায় তা নামমাত্র ছাপিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে পাঠকসহ বাদীর নির্বাচনী এলাকার জনগণ এবং দেশবাসীর কাছে বাদীর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়।
যুগান্তর প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রতিবেদক জসিম চৌধুরী সবুজ পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, সুনাম ক্ষুন্নকারী সংবাদ ও সম্পাদকীয় কলাম ছেপেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বাদী শাজাহান খানের ১০ কোটি টাকা সমমূল্যের মানহানি হয়েছে মর্মে মামলার অভিযোগে বলা হয়।