ক্রীড়া ডেস্ক:
একে তো ছন্দে নেই, তার ওপর মাঠের বাইরের নানা ইস্যুতে জেরবার অবস্থা বাংলাদেশ দলের। এই পরিস্থিতিতে আজ শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছেন শান্ত-মুশফিকরা। তাই তিন ওয়ানডের সিরিজে স্বাগতিক আফগানরাই ফেভারিট।
দু’দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণেই আফগানিস্তানকে ফেভারিট মানতে হচ্ছে। আফগানরা এই সিরিজ খেলতে এসেছে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে। গত সেপ্টেম্বরে এই শারজাহতেই প্রোটিয়াদের হারিয়েছে তারা। মধ্যপ্রাচ্যের এই মাঠ এখন আফগানদের আনঅফিসিয়াল হোম ভেন্যুও। ঠিক উল্টো অবস্থা বাংলাদেশ দলের। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর তাদের আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। এর আগে ভারতেও নাস্তানাবুদ হয়ে এসেছে তারা। পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার ঘটনা যেন দূর অতীতের কোনো বিষয় বলে মনে হয় এখন।
আরও একটি কারণে এ সিরিজে এগিয়ে থাকবে আফগানরা। হোম ভেন্যু হওয়ার কারণেই শারজাহতে নিয়মিত খেলে তারা। এই মাঠ তাদের কাছে হাতের তালুর মতো পরিচিত। আর বাংলাদেশ এখানে ওয়ানডে খেলতে নামছে ২৯ বছর পর। সেই ১৯৯৫ সালে এখানে এশিয়া কাপ খেলেছিল তারা। এই মাঠে তিনটি টি২০ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সর্বশেষটি ছিল ২০২২ এশিয়া কাপে, আফগানদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল তারা।
এই সিরিজে আফগানিস্তান নির্ভরযোগ্য ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও তারকা স্পিনার মুজিব-উর রহমানকে পাচ্ছে না। তবে দু’জন যোগ্য বিকল্প রয়েছে তাদের হাতে। কয়েক দিন আগে ওমানে ইমার্জিং এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া বিস্ফোরক ওপেনার সাদিকুল্লাহর সামর্থ্য রয়েছে ইব্রাহিম জাদরানকে ছাপিয়ে যাওয়ার। বাঁহাতি স্পিনার নূর আহমেদ অবশ্য পরিচিত মুখই। তবে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি।
ইমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানদের ২০ বছর বয়সী পেসার বিলাল সামিও নজর কেড়েছিলেন। তাঁকেও দলে ডাকা হয়েছে। ফজলহক ফারুকির সঙ্গে তাঁর পেস জুটি বেশ জমতে পারে। আরও একজনের প্রতি নজর রাখতে হবে বাংলাদেশকে। তিনি হলেন ১৮ বছর বয়সী অফস্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর। ইমার্জিং কাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও ভালো বোলিং করেছিলেন তিনি।