শিক্ষক ম্যানুয়াল ফরমে জরুরিভাবে তথ্য আপলোডের নির্দেশঃ শিক্ষা বোর্ড
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্ট:
পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সব শিক্ষকদের তথ্য আপলোডের ম্যানুয়াল ইলেক্ট্রনিক টিচার ইনফরমেশন ফরম (বঞওঋ) পূরণে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তথ্য আপলোড করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য না পেলে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য পরীক্ষক হিসেবে কোনও শিক্ষক প্রযোজ্য হবেন না।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়। আদেশে শিক্ষকদের ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জরুরিভিত্তিতে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা
১) প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সকল শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে বঞওঋ পূরণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অনুরোধ করা হলো।
২) সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও বঞওঋ-এর ডাটায় মাস্টার ট্রেইনারের কলাম এন্ট্রি করেছেন, যা গর্হিত অপরাধ। সুতরাং যারা প্রকৃত পক্ষে মাস্টার ট্রেইনার নন তারা অনতিবিলম্বে বঞওঋ-এর ডাটা থেকে মাস্টার ট্রেইনার কলাম সংশোধন করুন, নতুবা এরূপ প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য আপনার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান সত্যায়নকারীর দায় এড়াতে পারবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনকারী।
৩) আরও দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক তাদের ব্যক্তিগত রেজাল্ট তথা এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএসসি, অনার্স, মাস্টার্স, বিএড, এমএড, পিএইচডি ইত্যাদি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণি বঞওঋ-এর নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাঁকা রাখেন। অথচ প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রেজাল্টের সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। সুতরাং অবিলম্বে ওই কলামগুলো স্ব স্ব প্রাপ্ত বিভাগ/শ্রেণি এন্ট্রি করুন।
৪) প্রথম যোগদানের ক্ষেত্রে অনেকে তার বর্তমান স্কুল/কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তার শিক্ষকতার প্রকৃত অভিজ্ঞতার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। উদাহরণ- একজন শিক্ষক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন, পরবর্তীতে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ৫ বছর কর্মরত আছেন তাহলে তার অভিজ্ঞতা হবে ১৫ বছর। এ ক্ষেত্রে বর্তমান স্কুল/কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করলে অভিজ্ঞতা ৫ বছর বিবেচনায় আসবে। সুতরাং তার প্রথম যোগদান হবে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের তারিখ। উল্লেখ্য প্রতি বছর সার্ভিসের জন্য আলাদা পয়েন্ট রয়েছে।
৫) শিক্ষকদের ডাটা পূরণের সময় অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের (১৩ ডিজিটের) হিসাব নম্বর প্রদান করতে হবে।
৬) খণ্ডকালীন, অনিয়মিত এবং অক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শিক্ষকদের তথ্য বঞওঋ-এ পূরণ করা যাবে না।
৭) যে শিক্ষক যে বিষয়ে পাঠদান করেন শুধু সে বিষয়ই সিলেক্ট করতে পারবেন, অন্যথায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
৮) কলেজের ক্ষেত্রে শুধু যে বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন সে বিষয়ই সিলেক্ট করতে পারবেন।
৯) শিক্ষকদের সব সনদ, নিয়োগপত্র ইত্যাদি তথ্য-প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে বোর্ড সেগুলো তদন্ত করবে।
১০) বঞওঋ পূরণে কোনও তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য সংযোজন করলে এর দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানের বহন করতে হবে।
১১) যে সকল শিক্ষক পিআরএলে বা চাকরি ৬০ বছর চলমান (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে) তারা, তাদের ডাটা নিজ দায়িত্বে ডিলিট করতে করবেন।