নিজস্ব প্রতিবেদক:
সচেতন না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ সোমবার (১০ জুলাই) ডিএসসিসির নগর ভবনে ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট মামলা ব্যবস্থাপনা ও সম্পত্তি তথ্য ভাণ্ডার ব্যবস্থাপনা অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, সচেতনতা সঠিকভাবে না থাকলে, দায়বদ্ধতা সৃষ্টি না হলে ডেঙ্গু আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষজ্ঞরাও এমনটাই বলছেন এবং মাঠ পর্যায়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা তা থেকে বোঝা যাচ্ছে ঢাকার ডেঙ্গু পরিস্থিত আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।আমরা বিগত ১০ থেকে ২০ বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখেছি যে, শ্রাবণ মাস এবং ভাদ্র মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়। জলবায়ুর কারণ হোক কিংবা আবহাওয়ার কারণে আষাঢ় মাসের থেকে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকটতা এবং শ্রাবণ ও ভাদ্রতে এই পরিস্থিতি খারাপ হয়।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রতিদিনই চিরুনি অভিযানের পর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের মতোই থাকবে যদি আমরা সচেতন না হই। আমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল হতে হবে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়ির আশাপাশ এবং আশপাশের স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে যেন এডিসের লার্ভা না জন্মে।’
রোগীর ঠিকানা নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা এখন আর সম্ভব নয় জানিয়ে মেয়র বলেন,
আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তথ্য। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন। আপনাদের সচেতনতা এবং তথ্য ছাড়া ডেঙ্গু পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব না। আমরা এখন তথ্যের দাবিদার, তথ্য দিলে কাজ করা সম্ভব।
তথ্য পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই সিটি করপোরেশনের টিম সেখানে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
চিরুনি অভিযান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, প্রতিদিনের মতো আজকেও চিরুনি অভিযানে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রায় ২৩টি স্থানে লার্ভা পাওয়া গেছে এবং জরিমান করা হয়েছে। একজন আরেকজনের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে লাভ নেই। সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।