মোঃ সাইফুল ইসলামঃ
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলোর অন্যতম ‘ত্রুটিযুক্ত যানবাহন’ ও ‘অদক্ষ-অনিরাপদ চালক’। এ দুটি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ)। তবে দুর্ঘটনা কমাতে ওই দুটি বিষয়ের দিকে নজর না দিয়ে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়ে তারা নতুন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে নিজেদের কাজের দায় জনগণের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
সড়কে যানবাহনের গতির লাগাম টানা দুর্ঘটনা কমাবে— এমনটা মনে করছেন না দেশের সাধারণ মানুষ ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিআরটিএ সড়কে যানবাহনের গতি কমিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা নয়, বুঝে বা না বুঝে অর্থনীতির চাকায় ‘হালকা ব্রেক’ চাপার চেষ্টা করছে। মূলত তারা সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি করে দায় চাপাচ্ছে জনগণের ঘাড়ে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য সড়কে যানবাহনের গতি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ‘মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে। সেটি বিআরটিএ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশও করেছে।
প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে (দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানোর উপযোগী সড়ক) ও জাতীয় মহাসড়কে মোটরকার, বাস-মিনিবাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক, ট্রেইলারযুক্ত গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ কিলোমিটার। অন্যদিকে শহর এলাকার ছোট ও গ্রামীণ সড়কে এই গতিসীমা মোটরকার, বাস-মিনিবাস, ট্রাক, ট্রেইলারযুক্ত গাড়ির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ২০/৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই সড়কে যানবাহনভিত্তিক গতিসীমা নির্ধারণ করতে গেলে অনেক কৌশলে কাজটা করতে হবে। সড়কের ব্যাকরণ বলে— লেন ভিত্তিক গাড়ি চলতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে একই লেনে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি থাকে। লেন ভিত্তিক কনসেপ্ট এখানে নেই
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার পর দেখা যায় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, গাড়ির ফিটনেস নেই। এ দায় তো তাদের। আবার ৩৫০ সিসি মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণের অনুমতি দিয়ে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে তা না চালানোর নির্দেশ হাস্যকর।সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অবশ্য স্পষ্ট ঘোষণা— সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য হচ্ছে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ঘরে বসে সিদ্ধান্ত- এদিকে এক্সপ্রেসওয়ে (দ্রুতগতির সড়ক) ও জাতীয় মহাসড়কে বা শহরে মোটরসাইকেলের জন্য সর্বোচ্চ যে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তাকে অযৌক্তিক মনে করছেন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা ঘরে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে তাদের মোটরসাইকলে চালানোর অভিজ্ঞতা নেই।
ঢাকাতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন নুবায়েত প্রত্যয়। তিনি নিয়মিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। মোটরসাইকেল নিয়ে সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, মহাসড়কে যারা গাড়ি চালান তারা জানেন, প্রশস্ত সড়ক আর দূর পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা গেলে গাড়ির গতি বাড়িয়ে চালানো যায়। তখন তো মিটারের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালানোর সুযোগ নেই। দুর্ঘটনা তো ওই গতির কারণে ঘটে না। মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটে অদক্ষ চালকরা যখন গতির পার্থক্য বুঝতে পারে না, তখন। এটা সব ধরনের গাড়ির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, মোটরসাইকেল-বাস বলে কথা না।
আরেক মোটরসাইকেল চালক আহসান আলিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান সিদ্ধান্তটা ভুল হয়েছে। কারণ, জায়গা ভেদে কোনো কোনো জায়গায় কখনও ১০ কিলোমিটার আবার কখনও ৬০/৭০/৮০ কিলোমিটার গতি না হলে হয় না। এখন এসব জায়গায় ৪০/৫০/৬০ গতিতে বাইক চালালে তো পেছন থেকে অন্য যানবাহন এসে মেরে দেবে। যারা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে তারা আসলে কখনও সড়ক-মহাসড়কে বাইক চালিয়েছে বলে মনে হয় না।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে সড়কে ৫ হাজার ৪৯৫টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২৪ জন নিহত হয়েছেন। আর বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছেন।চলতি বছরের সড়ক দুর্ঘটনার যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় সেখানে দেখা যায় এককভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মোটরসাইকেল
বাসচালক মাহাবুবুর রহমান বলেন, রাস্তা ভালো ও দূর পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা গেলে ও বাসের কন্ডিশন ভালো থাকলে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতেও চালানো যায়। আমরা ৭০-৯০ কিলোমিটারের মধ্যেই চালাই। সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতি তো কাঁটা দিয়ে মেপে গাড়ি চালানো যায় না। কখনও বাড়ে আবার কখনও কমে। এটা রাস্তার ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, গতির কারণেই সবসময় দুর্ঘটনা হয় বিষয়টা এমন না। অনেক সময় দেখা যায়, সড়কে বাসগুলো অন্য বাসের সঙ্গে রেষারেষি করে। ডানে-বামে করে বেশি। ফলে একটার সঙ্গে আরেকটা বাড়ি খেয়ে রাস্তার বাইরে চলে যায়। কখনও বাসের চাকা ফেটে যায়। দুর্ঘটনার নানা কারণ আছে। শুধু গতির ওপর দোষ দেওয়া যাবে না।
দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে- যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, আমাদের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু সেটা কমাতে হলে বিজ্ঞানসম্মত কাজগুলো করতে হবে। আমি একটা সড়ক তৈরি করলাম উচ্চগতির। আর সেই সড়কে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিলাম তার অর্ধেক! সড়কের স্পিড লিমিট হতে হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সড়কে যানবাহনভিত্তিক গতিসীমা নির্ধারণ করতে গেলে অনেক কৌশলে কাজটা করতে হবে। সড়কের ব্যাকরণ বলে— লেন ভিত্তিক গাড়ি চলতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে একই লেনে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি থাকে। লেন ভিত্তিক কনসেপ্ট এখানে নেই।
তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের লিমিট দেওয়া হয়েছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং প্রাইভেটকার-বাসের লিমিট দেওয়া হয়েছে ৮০ কিলোমিটার। এখন আমার পেছনে থাকা ৮০ কিলোমিটার গতির গাড়ির ওভারটেক করতে অসুবিধা হবে। যদি আমাদের লেনভিত্তিক ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমরা বলতে পারতাম যে, এই লেনে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল চলবে। এই লেনে বাস এবং ট্রাক চলবে। এখন একই লেনে যদি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন থাকে এবং তাদের গতিও যদি বিভিন্ন ধরনের হয়, তাহলে তো এখানে গতির তারতম্য আরও বাড়তে থাকবে। গতির তারতম্য থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে।
‘যানবাহনের সঙ্গে সড়ক অবকাঠামোর সামঞ্জস্য রাখতে হবে। যদি মোটরসাইকেলকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে সীমাবদ্ধ করতে হয়, তবে মোটর সাইকেলের জন্য আলাদা লেন লাগবে এবং সেটা সেই ভাবেই তৈরি করতে হবে যেন মোটরসাইকেল চালকরা ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালাতে উৎসাহিত না হন। এখন এক্সপ্রেসওয়েতে যে অবস্থা, সেখানে এই গতি ধরে রাখা সম্ভব না। ফলে মামলার পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।’
মো. হাদিউজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গেলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজগুলো করতে হবে। একটি সড়কে আমি যে ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য ডিজাইন করেছি, সেখানে ওই ধরনের যানবাহন চলাচল করাতে হবে। চালকের দক্ষতা আছে, ফিটনেস আছে— এমন গাড়িগুলোকেই ওই সড়কে উঠতে দিতে হবে এবং যে গতির জন্য এই সড়ক ডিজাইন করা আছে, সেই গতিতে তাকে চলতে দিতে হবে। আর যেসব চালকের দক্ষতা নেই, গাড়ির ফিটনেস নেই সেসব গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এত টাকা বিনিয়োগ করে একটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করলাম দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানোর জন্য, যাতে করে আমাদের অর্থনীতিতে আরও গতি বাড়ে। সেখানে এখন সড়ক কর্তৃপক্ষ গাড়ির গতি কমাচ্ছে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, উনারা যে গতি নিয়ন্ত্রণের একটি ডিসিশন নিলেন, তাদের কোনো গবেষণা আছে কি যে দ্রুতগতির জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে। কেন দুর্ঘটনা ঘটছে, সেটার জন্য প্রকৃত কারণ জানতে হবে। আমার মনে হওয়া কারণে কোনো সড়কে যানবাহনের গতি কমিয়ে দেব, সেটা হতে পারে না। এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতে পর পর দুইটি দুর্ঘটনা হওয়ার পর সেখানে গতি ৬০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হলো। এটা আসলে কাজের হলো না কি হিতে বিপরীত হলো? যদি সঠিক কারণ না জেনে দাওয়াই দেওয়া হয়, তাহলে তো রোগের উপসর্গের চিকিৎসা করা হবে এবং উনারা (বিআরটিএ) তাই করছেন।
‘আসলে সড়কের বিশৃঙ্খলা যদি না কমানো যায়, গতির পার্থক্য যদি কমাতে না পারে, তাহলে মূল কারণ বাইরেই থেকে যাবে। সড়কের দুর্ঘটনা হয় বিশৃঙ্খলা থেকে। বিশৃঙ্খলার প্রথম দুইটি কারণের একটি হলো গতির পার্থক্য। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের লিমিট করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। এখন যদি মোটরসাইকেল প্রথম লেনে ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়, তাহলে অবস্থাটা কী হবে? প্রথম লেনটা কিন্তু সর্বোচ্চ গতির জন্য। তারপরেরটা আরেকটু কম গতির যানবাহনের জন্য। ওই প্রথম লেনে যদি ধীরগতির কেউ থাকে, তাহলে বাধ্যতামূলক ওভারটেকিং হবে। ফলে এই জায়গাটাতেই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশি বাড়ে। এটাই বলে বিজ্ঞান। স্পিড লিমিট করে বিষয়টাকে বৈধতা দিল বিআরটিএ বলে জানান এই যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন, নন টেকনিক্যাল লোকগুলো যখন বসে বসে বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তগুলো অনুমান করেন, তখন গতির আরও বিশৃঙ্খলা করবে তারা। তাদের বৈধতাতেই এই বিশৃঙ্খলা হবে। বিশৃঙ্খলা থেকে দুর্ঘটনা ঘটে। উনারা এই রেসিপিটা নতুন করে তৈরি করল। এটা উনারা নিজেরাও জানে, গতির এত তারতম্য দিয়ে কোথাও গাড়ি চলে না। এখন প্রাইভেটকার যে গতিতে চলে, তার থেকে ভালো প্রযুক্তির বাস চলে এসেছে। সবাই এখন একই গতিতে চলে। দেশের বাইরে যারা হাইওয়ে পুলিশে থাকে, তারা জানে দুর্ঘটনার কারণ হলো গতির পার্থক্য। ফার্স্ট লেনের যদি অপব্যবহার হয় তবে ওভারটেকিংটা বিশৃঙ্খল হয় এবং বেশি বেশি হয়। তখনই দুর্ঘটনাটা ঘটে। হাইওয়ে পুলিশের কাজ লেন পজিশনটাকে ঠিক রাখা।
দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় অদক্ষ চালক ও ত্রুটিযুক্ত যানবাহন সামলাতে না পেরে বিআরটিএ গতি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না— জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, দুর্ঘটনার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনিরাপদ চালক। তারা (বিআরটিএ) এটা তৈরি করছে। চালককে কম্পাউন্ডের মধ্যে এনে জিগজ্যাক এবং র্যাম্প টেস্ট করে বলা হয় তোমার কাজ হয়ে গেছে। ওই চালক রাস্তায় সঠিকভাবে গাড়ি চালাতে পারে কি না, সাইন দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না এই দক্ষতা দেখে তাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কথা। অনেকের তো এই টেস্টও লাগে না। সুতরাং ওখানে আমি স্বচ্ছ করতে পারছি না। আসলে কম্পাউন্ডের মধ্যে যে চালককে আমরা যোগ্য বলছি, সে কি আসলেই সড়কে গাড়ি চালানোর যোগ্য? কম্পাউন্ডের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর যোগ্যতা দিয়ে বিআরটিএ একটা মারাত্মক ভুল করছে।
তিনি আরও বলেন, চালকদের রুলস ভায়োলেট করার জন্য উনারাই ক্ষেত্র তৈরি করছে। যেখানে চালক দেখতে পাচ্ছে সুন্দর একটা রাস্তায় সুন্দর একটা পরিবেশে ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো যায়, সেখানে না বুঝে ৬০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হলো। চালক এটা অমান্য করবেই। আবার সেটা থামানোর মতো সক্ষমতাও তাদের নেই। প্রকল্প নেওয়ার সময় আমি দ্রুতগতির কথা বলি, কর্মঘণ্টা বাঁচানোর কথা বলি, এটাকে আমি ইকোনমিক টার্মে ট্রান্সফার করে আইআরআই বের করে প্রজেক্ট বের করছি। অপারেশনে এসে আমার দুর্বলতাগুলোকে ঢাকার জন্য বলছি, দুর্ঘটনার জন্য গতি দায়ী। আমি চালক তৈরি করতে পারি না, বাসের ফিটনেস দিতে পারি না এবং প্রত্যেকটা দুর্ঘটনার পরেই দেখা যায় এগুলো হচ্ছে প্রধান ত্রুটি।