সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঢাকায় রাজনৈতিক সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। যেহেতু আগামীকাল শুক্রবার একই দিনে ঢাকায় আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপি মহাসমাবেশ করবে। তাই এর আগের দিন আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে দুই বড় দলের কর্মসূচি নিয়ে সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সংক্রান্তে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপি থেকে দলগুলোকে সমাবেশের জন্য যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এর বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। জনদুর্ভোগ এড়াতে দলগুলোর নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখতে হবে।

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের পুলিশি ধরপাকড়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপি প্রধান বলেন, কোনো পলিটিক্যাল পার্টি বা রাজনৈতিক দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযানে নামেনি পুলিশ। এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবো। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা সন্দেহভাজন বা নিয়মিত মামলার আসামি। অনেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ, এটি চলবে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছিল। এবারও আশুরায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি চলছে, এরমধ্যে বড় দুই রাজনৈতিক দলের একই দিনে ঢাকায় সমাবেশ। এ অবস্থায় যে কেউ বাইরে থেকে এসে অথবা কোনো কুচক্রী মহল যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ। বড় দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ মুহূর্তে তেমন বড় কোনো থ্রেট নেই। তবে যেহেতু বড় দুটি দলের বড় সমাবেশ, যে কোনো কুচক্রী মহল বা যে কেউ সমাবেশের সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, র্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি স্ট্যান্ডবাই থাকবে। আমরা সবসময় সতর্ক থাকবো, যেন কোনো দুষ্টচক্র কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে।

এসময় ডিএমপি কমিশনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার কোনোরূপ অবনতি হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমের অনলাইন নিউজ পোর্টাল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।