সরকারকে আলোচনা করেই একটা পথ বের করতে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নির্দলীয় সরকারের বিষয়টি সংবিধানে সংযোজন করার দায়িত্ব সরকারের-এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে তাদের সদিচ্ছার ওপর। সরকারের যদি জনগণের ওপর কোনো ভালোবাসা থেকে থাকে, দেশের প্রতি তাদের যদি কোনো প্রেম থাকে তাহলে তাদের আলোচনা করেই একটা পথ বের করতে হবে। কারণ, সরকার চাইলে যেকোনো সময় সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে। এটা অতীতে দেশে হয়েছে।

আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন এক দফার আন্দোলন শুরু করার কথা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। জনগণও রাস্তায় নামছেন। আমাদের নতুন করে পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। আশা করি, এর মধ্যে এক দফায় আন্দোলন শুরু করব। গতবারের চেয়ে এবারের আন্দোলনের ধরন একটু ভিন্ন হবে। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।

গত শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ঠাকুগাঁওয়ে যে কথাটা বলেছিলাম-‘জামায়াতে ইসলামী একটা রাজনৈতিক দল, সে তার নিজস্ব ধারায় রাজনীতি করছে।’ মূল কথাটা হচ্ছে-সরকারের বিরুদ্ধে যারাই আন্দোলন করবে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। আমরা যুগপৎভাবে আন্দোলন করছি, জোটবদ্ধ আন্দোলন করছি না। প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল যারা মনে করে, এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত তারা করতে পারে এটা স্বাভাবিক। কমিউনিস্ট পার্টি নিজস্ব জায়গা থেকে আন্দোলন করছে, বাসদ নিজস্ব জায়গা থেকে আন্দোলন করছে। জামায়াতে ইসলামী তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে আন্দোলন করছে। এ রকম অনেক দল আছে, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নেই, কিন্তু তারা তাদের মতো আন্দোলন করছে। আমরা তাদের সবাইকে স্বাগত জানিয়েছি।

‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির বি-টিম’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য নাচক করে দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এগুলো বাজে কথা। তারা ইচ্ছা করে এসব কথা বলছে। জনগণই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের কথাগুলোর উত্তর দিয়ে দেবে। এবার জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনটা শুরু হয়েছে। আবার একটা ইস্যু তৈরি করে সেটাকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া। তবে এবার কোনো সুযোগ তারা পাবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।