জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সময়ে টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট চেম্বার করার অভিযোগ উঠেছে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শেখ মাহমুদের বিরুদ্ধে। এতে বাধা দেওয়ায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সৌমেন সাহাকে হুমকি দিয়েছেন তিনি। পরে এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
তিনি বলেন, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সৌমেন সাহার অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম ও বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সালেহ আহমেদ সোহেলকে দিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডা. সৌমেন সাহা অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আরএমও ডা. শেখ মাহমুদের সরকারি হাসপাতালে বসে বেসরকারি চেম্বারের প্যাডে টাকার বিনিময়ে রোগী দেখার অভিযোগ পাই। তাৎক্ষণিক তার অফিসে গিয়ে এর প্রমাণ পাই। পরে তাকে সরকারি বিধির কথা জানিয়ে বারণ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আরএমও ডা. শেখ মাহমুদ বলেন, সরকারি চেম্বারে টাকা নিয়ে বেসরকারি প্যাডে রোগী দেখার বিষয়টি সঠিক নয়। আমি দীর্ঘ আট বছর এখানে লোকজনকে চিকিৎসা দিয়ে আসছি। অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আমার মতেবিরোধ দেখা দিলে তিনি আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে আসছেন।তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।