সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে শীঘ্রই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: সংসদে অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩

সেলিনা আক্তার:

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে শীঘ্রই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এর ফলে দ্রুত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।

সোমবার সংসদের বৈঠকে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে। এসময় তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ সংসদে তুলে ধরেন। এর মধ্যে মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করা; রিজার্ভ পুনরায় গঠনের জন্য সঠিক মূল্যে পণ্য আমদানি নিশ্চিত করা; বাণিজ্যিক ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা ধারণের সীমা হ্রাস করা হচ্ছে; ৫ হাজারের ডলারের বেশি প্রবাস আয়ের উৎস প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছে; পাইপ লাইনে থাকা বৈদেশিক অর্থায়ন ছাড়করণ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।

জামালপুর-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রুগ্ন শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৯ সালে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠিত হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি গার্মেন্টস এবং ২০১১ ও ২০১৫ সালে একশটি রুগ্ন টেক্সটাইল শিল্পের ঋণ বিলুপ্তের সার্কুলার জারি করে।

ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে ঋণ আকারে বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মোবাইল কলরেট পুনরায় নির্ধারণ হবে না

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফ জব্বার বলেন, বর্তমান প্রচলিত কলরেট ২০১৮ সালে মার্কেট পর্যালোচনা, আর্থ সমাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আপাতত কলরেট পুনরায় নির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা নেই।

বর্তমানে সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মোবাইল অপারেটসমূহকে একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ, অফার, বা বান্ডেলে অন-নেট এবং অফ-নেটের ভয়েস কলের ক্ষেত্রে ট্যারিফের মধ্যে প্যাকেজ ডিজাইন করতে হয়। সর্বোচ্চ করলেট ২ টাকা হলেও অপারেটরসমূহ নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১ টাকা মিনিটের কম রেটে বিভিন্ন প্যাকেজ ডিজাইন করে থাকে।

নওগাঁ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, দেশে ৪টি মোবাইল কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কোম্পানিগুলো সরকারকে তিন হাজার ১৭৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা রাজস্ব পরিশোধ করেছে।