ক্রীড়া ডেস্ক :
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। এরপর টানা ছয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বিশ্বকাপে শেষ দুই ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। এমন অবস্থায় নিজেদের অষ্টম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে টাইগাররা। তবে শেষ দিকে উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৩ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্ব আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখেছে টাইম আউট। কোনো বল খেলার আগেই টাইম আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আঞ্জেলো ম্যাথুস। ঘটনাবহুল এই ম্যাচে চারিথ আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ৪৯ ওভার ৩ বলে ২৭৯ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১০৫ বলে ১০৮ রান করেন আসালাঙ্কা।
২৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৪১ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ৫ বলে ৯ ও লিটন দাস ২২ বলে ২৩ রান করে আউট হন।
তবে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর এই চাপ সামাল দেন নাজমুল হাসান শান্ত। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দু’জনেই তুলে ফিফটি। ১৬৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। লঙ্কান বোলারদের কোনো সুযোগ না সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন সাকিব ও শান্ত।
তবে দলীয় ২১০ ও ২১১ রানে আউট হন সাকিব ও শান্ত। সাকিব ৬৫ বলে ৮২ ও শান্ত ১০১ বলে ৯০ রান করেন। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ।
দলীয় ২৪৯ ও ২৫৫ রানে এই দুই ব্যাটারকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। মুশফিক ১৩ বলে ১০ ও মাহমুদউল্লাহ ২৩ বলে ২২ রান করেন। এরপর তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ লড়াই করেন।
তবে দলীয় ২৬৯ রানে ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন মিরাজ। তবে এরপর ক্রিজে আসা তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন হৃদয়। লঙ্কানদের পক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কা নেন ৩টি উইকেট।