নিজস্ব প্রতিবেদক:
সহিংস ব্যক্তিদের কথায় রাষ্ট্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, বর্তমানে যারা সহিংস শক্তি প্রদর্শন করতে পারছেন, তাদের কথায় রাষ্ট্র চলছে। সরকার নিজেকে রাষ্ট্র মনে করে। তাই জনগণকে কোনো মূল্যায়ন করে না। আগে ভোট ছিল, তাই কিছুটা হলেও জনগণের মূল্যায়ন ছিল। এখন ভোটের সময়ও জনগণের মূল্যায়ন নেই।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে নেত্রকোনায় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মানুষ একটা ন্যায়বিচারের সমাজ চায় উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, যে সমাজে মানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে ভালোভাবে বাচতে পারে, আমরা এমন একটি দেশ চাই। যেখানে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত থাকবে। বঙ্গবন্ধুও এ কথাগুলো বলেছিলেন। তিনি ৭ মার্চের ভাষণে চারটি কথা স্পষ্ট করে বলেছিলেন। যারা এখন আওয়ামী লীগ করেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে ভালো করে পড়েন না। শুধু মুখে মুখে বঙ্গবন্ধু। অন্তরে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করলে সভ্য সমাজ হতো। আমরা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে কথা বলেছি, তা বাস্তবায়ন চাই।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সভ্য সমাজে এটি হতে পারে না। বিচারবহির্ভূত হত্যা একটা হলেও সেটা অপরাধ। তাই আমরা এর প্রতিবাদ জানাবই। আইন মানুষকে শাস্তি বা কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। বরং, শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের পরিবেশ তৈরির জন্য। আমরা এখন অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছি। তাই শুধু উন্নয়ন হলেই হবে না। সেই সঙ্গে সভ্যতারও বিকাশ হতে হবে।
এ মানবাধিকার কর্মী বলেন, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল থেকে শুরু করে দেশে উন্নয়ন অনেক হচ্ছে। কিন্তু অনেক গরিব মানুষ সেখানে চলতে পারে না। নিজেদের সুবিধার জন্য তারা এসব করে বলছে, দেশে বিরাট উন্নয়ন হচ্ছে।