
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
কড়া রোদে বেরোলে গায়ে ট্যান পড়তে বাধ্য। অনেকের রোদে ত্বক পুড়ে যায়। এই সানবার্ন ট্যানের থেকেও মারাত্মক। ত্বক লাল হয়ে থাকে। তার উপর জ্বালা ভাব বাড়তে থাকে। সানবার্নের উপর বরফ চেপে ধরলে আরাম মেলে। কিন্তু শুধু বরফ সেঁক দিয়ে সানবার্ন দূর করা যায় না। এ ক্ষেত্রে রান্না ঘরে থাকা সাধারণ উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন।
ওটমিল
ওটসের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের জ্বালা ভাব ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। ওটস গুঁড়ো করে নিন। ঠান্ডা জল দিয়ে ওটস পেস্ট বানিয়ে নিন। পোড়া স্থানে এই ওটসের পেস্ট ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
টক দই
সানবার্নের উপর টক দই লাগান। সেকেন্ডের মধ্যে জ্বালা ভাব থেকে রেহাই পাবেন। টক দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড ও প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, টক দই ট্যান তুলতেও উপযোগী।
মধু
গায়ে মধু মাখলে চিটচিটে ভাব বাড়ে। কিন্তু এই প্রাকৃতিক উপাদানে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও ময়েশ্চারাইজ়িং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তুলতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। সানবার্নের উপর ১৫ মিনিট মধু লাগিয়ে রাখলেই উপকার পাবেন। তবে, মধু খাঁটি হওয়া চাই।
টি ব্যাগ
চা বানানোর পর টি ব্যাগ ফেলে দেবেন না। বরং, ব্যবহার করা টি ব্যাগ ফ্রিজে তুলে রাখুন। ঠান্ডা টি ব্যাগ চেপে ধরুন সানবার্নের উপর। চা পাতার মধ্যে ট্যানিন রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
নারকেল তেল
ট্যান ও সানবার্নের সমস্যা একসঙ্গে দূর করতে চাইলে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। নারকেল তেলের মধ্যে ময়েশ্চারাইজ়িং উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। পাশাপাশি ত্বকের উপর শীতল এফেক্ট এনে দেয়। ত্বকের জ্বালা ভাব, চুলকানি কমিয়ে দেয় নারকেল তেল।