সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী কারাগারে

প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিথ্যা পরিচয়ে বিশ্বাসভঙ্গ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আট দিনের রিমান্ড শেষে হাসান সারওয়ার্দীকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। হাসান সারওয়ার্দীর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী সিনিয়র সিটিজেন। তিনি বীর বিক্রম, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। হাসান সারওয়ার্দী অরাজনৈতিক ব্যক্তি। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না, পরিস্থিতির শিকার। তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। জামিন দিলে পলাতক হবেন না। আদালতের নির্দেশ মেনে চলবেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাসান সারওয়ার্দীর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


এর আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দীকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। জামিন শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।


এরও আগে গত ১ নভেম্বর হাসান সারওয়ার্দীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর তাকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ৩০ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ের সামনে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া জাহিদুল হক আরেফী আমাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির পার্টি অফিসে হাসান সারওয়ার্দী, বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তারা (বিএনপি) মিথ্যাভাবে মিয়ান আরাফীকে উপস্থাপন করেছেন। তারা বাসা থেকে আসার সময় শিখিয়েছেন যে, আপনি (মিয়ান আরাফী) বলবেন, র‌্যাবকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে সহায়তা করেছি। এখন পুলিশ, আনসার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এই কথাগুলো বললে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসাররা ডিমোরালাইজড হবে এবং বাংলাদেশের মানুষও ডিমোরালাইজড হবে।