সাজ্জাদ হোসেন:
প্রাণঘাতী মশার কামড়ে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৯ জনের প্রাণহানী ঘটেছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১৭ জনে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ হাজার ৬৬৬২ জন ডেঙ্গুরোগী। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৭৯৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪১৭ এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৩৭৭ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬ জন, ঢাকার বাইরের ৩ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ এক হাজার ৫৬৭ জন, আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮১ হাজার ১৩১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪১৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৪০৮ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৮ হাজার ৯১৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭০০ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।